মাদারীপুরে সমবায় সমিতির নামে চলছে অবৈধ ব্যাংকিং। জেলার সদর, কালকিনি, শিবচর ও রাজৈর উপজেলায় গড়ে উঠেছে এ রকম প্রায় ৫০টি সমবায় সমিতি। এদের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে এরই মধ্যে সর্বস্বান্ত হয়েছে অনেক পরিবার। গত তিন মাসে এসব উপজেলা থেকে ১৪টি সমিতি গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কতিপয় মুনাফালোভী ব্যক্তি সমবায় অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এলাকায় প্রকাশ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সাধারণ মানুষ অধিক মুনাফার আশায় ব্যাংক ও পোস্ট অফিসে টাকা না রেখে ওইসব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জেলা সমবায় অফিস সূত্র জানায়, মাদারীপুরে ৮৯৩টি নিবন্ধনকৃত সমবায় সমিতি রয়েছে। তবে কতগুলো সমিতি পালিয়েছে বা কি পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেনি তারা। জেলা সমবায় অফিসার রেজাউল করিম বলেন, কিছু কিছু সমিতি ঢাকা থেকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। তাদের আমরা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। তাছাড়া পালিয়ে যাওয়ার আগে গ্রাহকরা অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তারা অভিযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার পরে। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর থেকে চারটি, কালকিনি থেকে চারটি, শিবচর থেকে তিন এবং রাজৈর থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়েছে। তারা স্বাভাবিক ঋণদান ও সঞ্চয় সংগ্রহের পাশাপাশি মাসিক আমানত, স্থায়ী আমানত, পেনশন স্কিমসহ বিভিন্ন প্রকল্পে আমানত গ্রহণ করেছে। মাসিক মুনাফা প্রতি লাখে দুই হাজার টাকা, চার বছরে দ্বিগুণ ও ৭ বছরে তিন গুণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে কোটি কোটি টাকা। গ্রাহকদের অভিযোগ, ম্যাঙ্মি কো-অপারেটিভ, 'ম্যাঙ্মি ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড চারটি উপজেলায় শাখা খুলে গ্রাহকের প্রায় ৫০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে। এ ছাড়া মাদারীপুর সদর, টেকেরহাট, শিবচরে শাখা খুলে বিভিন্ন প্রলোভনে পিএফসিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠান দুই মাস আগে ৪০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করেও ওইসব সমিতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।