আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষমতার দ্বন্দ্বে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন হেফাö

ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দেশের আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা। সংগঠনে আধিপত্য বিস্তার এবং মজলিসে শূরায় স্থান না পাওয়াকে কেন্দ্র করে নেতাদের কোন্দল এখন তুঙ্গে। এ ছাড়াও ৫ মে শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার পতনের জন্য একটি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগেও দলে চলছে তোলপাড়। শীর্ষ নেতাদের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসার পর গতকাল হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফী বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, আগের কমিটি বহাল রেখে কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি করতে কেন্দ্রীয় শূরা ও একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু একটি পক্ষ নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহী বলেন, আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে এবং ত্যাগী নেতাদের বাদ দিতে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রের মুখে ত্যাগী নেতা-কর্মীরা এখন কোণঠাসা। সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, সংগঠনের মুরবি্বরা মিলে শূরা গঠন করেছেন। যাদের ত্যাগী মনে করা হয়েছে তাদের শূরায় রাখা হয়েছে। প্রতিহিংসামূলকভাবে কাউকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। শূরায় স্থান না পেয়ে কয়েকজন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। জানা যায়, সংগঠনে এককাধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হেফাজতের নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী ও যুগ্ম-মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহীর অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। তাদের মতানৈক্যের কারণে একাধিকবার জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়। মুফতি ইজহার অনুসারীদের দাবি, ৫ মে শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চক্রান্তে লিপ্ত হন রুহী ও তার অনুসারীরা। সরকার পতনের জন্য একটি দলের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও নেন তারা। সাধারণ নেতা-কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তিন শীর্ষ নেতাকে শূরায় রাখা হয়নি। অন্যদিকে, শূরা থেকে নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, যুগ্ম-মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহী, মুফতি ফয়জুল্লাহ বাদ পড়ার পর তাদের অনুসারীরা প্রকাশ্যে নেমে আসেন। তাদের পক্ষে হেফাজতের শীর্ষ ৫০ আলেম বিবৃতি দেন। রুহী-ফয়জুল্লাহর অনুসারীদের দাবি, সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ৫০ আসন দাবি করতে নায়েবে আমির মুফতি ইজহার, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী এবং কাতেব ওসমানী পরিকল্পিতভাবে রুহী, ফয়জুল্লাহ ও আবদুল লতিফ নেজামীকে বাদ দিয়েছেন। কারণ তারা যদি শূরায় থাকেন তাহলে মুফতি ইজহাররা রাজনৈতিক সুবিধা নিতে পারবেন না। জানা যায়, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফী, আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, আমির নূর হোসাইন কাসেমী ছাড়া সবাই বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত। তারা ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.