চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ নানা ক্ষেত্রে বরাদ্দপ্রাপ্তিতে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলররা চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ বৈষম্য নিরসন করা না হলে আগামীতে নতুন করে পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা।
জানা যায়, একজন পুরুষ কাউন্সিলর তার ওয়ার্ডের জন্য বছরে ৫০ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজের প্রকল্প দিতে পারেন। এক্ষেত্রে একজন মহিলা কাউন্সিলর দিতে পারেন মাত্র ১০ লাখ টাকার। তাছাড়া প্রতি ওয়ার্ডে পুরুষ কাউন্সিলরদের মাধ্যমে আয়তনভেদে পরিচ্ছন্নতা কর্মী বরাদ্দ থাকলেও মহিলাদের জন্য তা নেই। নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে পুরুষ কাউন্সিলররা জন্মনিবন্ধন সনদ দিতে পারলেও মহিলারা পারেন না। একইভাবে বৈষম্য করা হয় এডিবির বরাদ্দের ক্ষেত্রেও। গত ২৩ নভেম্বর ৪১তম সাধারণ সভায় বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মহিলা কাউন্সিলররা ওয়াক আউট করেন। এতেও কোনো কাজ হয়নি।
এদিকে বুধবার সিটি করপোরেশনের ৪২তম সাধারণ সভায় নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে নগর অবকাঠামোগত উন্নয়নে ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ের সিদ্ধান্ত হয়। নগরীর নালা- নর্দমা সংস্কার, রাস্তাঘাট নির্মাণ ও কালভার্ট উন্নয়নে প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ৫০ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ১০ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।
মহিলা কাউন্সিলরদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তারা উন্নয়ন বরাদ্দসহ নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। গত দুই মাস আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জন্মনিবন্ধন সনদ মেয়রের মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে দেওয়ার নির্দেশনা আসে। কিন্তু বর্তমানে পুরুষ কাউন্সিলররাই যথারীতি মেয়রের প্রতিনিধি হয়ে আছেন।
মহিলা কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহেনা কবির রানু বলেন, থোক বরাদ্দসহ নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি। বুধবারের বৈঠকে প্রতিবাদ করেও কোনো কাজ হয়নি।
সিটি করপোরেশনের সচিব রশিদ আহমেদ বলেন, বৈষম্যের কিছু নেই। বরাদ্দ হয় ওয়ার্ডের জন্য, ব্যক্তির জন্য নয়। এখানে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তার ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজের প্রকল্প দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। কার্যত দুজনই তো ওয়ার্ডে কাজ করেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।