আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নওগাঁয় গাউসুল আযম মাদরাসা আবারও উত্তপ্ত

নওগাঁর নামাজগড় গাউসুল আযম আলীয়া মাদরাসা আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ২০১২ সালের ১৫ অক্টোবর সংঘটিত ভয়াবহ সংঘর্ষের কারনে সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত শিক্ষকরা ঐ প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পরই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে আজ দুপুরে দ্রুত পুলিশের উপস্থিতির কারনে রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
 
জানা গেছে, মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থা অটুট রাখতে প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিনিয়র শিক্ষক মওলানা আকরাম হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে সমপ্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে ভাইস প্রিন্সিপাল আদম আলীসহ ৭ শিক্ষক কর্মস্থলে যোগদান করেন।

যোগদানের পর ভাইস প্রিন্সিপাল আদম আলী অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেন। এ লক্ষে তার পক্ষের কিছু ছাত্র তাকে প্রিন্সিপালের দায়িত্ব দেয়ার দাবিতে  প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করে। প্রেক্ষিতে মোট ৭৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬০ জনসহ সাধারন ছাত্রছাত্রী বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বহাল রাখার দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেন। এরই এক পর্যায়ে আজ সকাল ৯টায় আদম আলীর পক্ষের কিছু ছাত্র বহিরাগতদের সাথে নিয়ে সংগঠিত হয়ে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালায়। এতে ঐ প্রতিষ্ঠানে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
 
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনম আকরাম হোসেন বলেন, একটি কুচক্রী মহল বেশ কয়েকদিন ধরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির  মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্টের চষ্টো চালচ্ছে।
 
নওগাঁ সদর থানার ওসি তদন্ত সমির সুত্রধর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা ছাত্রছাত্রীদের কোন রকম অপরাজনীতি করতে দেয়া হবে না। যে কোন মূল্যে সেখানকার পড়াশুনার পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ তত্পর রয়েছে।
 
উল্লেখ্য, গত ২০১২ সালের ১৫ অক্টোবর তত্কালীন অধ্যক্ষের ইন্ধনে কিছু ছাত্র বহিরাগতদের সহায়তায় নারকীয় হামলা চালিয়ে মাদরাসার বিএ শাখার ২৪ জন শিক্ষক কর্মচারীকে মারাত্মকভাবে আহত করে।

পরবর্তীতে অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষসহ ১২জন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এরই মধ্যে অধ্যক্ষ মওলানা আব্দুস সাত্তার বয়সজনিত কারনে চাকুরী থেকে অবসরগ্রহন করলে কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আনম আকরাম হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.