মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসে ধসে পড়া শেয়ারবাজারকে টেনে তুলতে ব্যতিক্রম একটি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পুঁজিবাজারের শেয়ার সরবরাহ বাড়াতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে অনিবাসীদের বিনিয়োগে প্রবাসী শিল্প বিনিয়োগ মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণ থাকবে সিংহভাগ। সরকারি উদ্যোগে এই প্রথম একটি মিউচুয়াল ফান্ড গঠিত হতে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতে বাজারে আসতে পারে প্রবাসী শিল্প বিনিয়োগ মিউচ্যুয়াল ফান্ড। ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেদিনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। বৈঠকে পুঁজিবাজার, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিনিয়োগ বোর্ড, শিল্পমন্ত্রণালয়, আইসিবি, বিভিন্ন ব্যাংক ও ব্যবসায়িক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
শিল্পমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকার চায় এটি হবে একটি বে-মেয়াদি (ওপেন ইন্ড) মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর আকার হবে এক হাজার ২৫০ কোটি টাকার। ফান্ডে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে দেশে এবং দেশের বাইরে রোড শো করবে সরকার। প্রবাসীদের পাশাপাশি দেশীয় শিল্পোদ্যাক্তারাও এতে অংশ নিতে পারবেন। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী মাসে কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্রম বৈঠক করবে শিল্পমন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডটির ব্যাপারে তথ্য জানাতে ও সচেতনতা বাড়াতে দেশে-বিদেশে রোড শো করা হবে। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজার শক্তিশালী হবে বলে আশা করছে সরকার। এছাড়া এটিই হচ্ছে প্রথম সরকারি উদ্যোগে গঠিত শিল্প বিনিয়োগ মিউচ্যুয়াল ফান্ড। ফলে এতে বিনিয়োগ করা হবে শতভাগ নিরাপদ। বর্তমানে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে ৪৩টি মিউচুয়াল ফান্ড তালিকাভুক্ত রয়েছে। এর সবগুলোই বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকার সব সময়ই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় শেয়ারবাজারের উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রবাসী শিল্প বিনিয়োগ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বাজারে আসতে আরও সময়ের প্রয়োজন। তবে সবপক্ষেরই আগ্রহ পাওয়া যচ্ছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, সরকার অনেক উদ্যোগই নিয়েছে। কিন্তু এর কোনটাই সময়সাপেক্ষ ছিল না। এজন্য ইতিবাচক কোনো ফল পাওয়া যায়নি। প্রবাসী শিল্প বিনিয়োগ মিউচ্যুয়াল ফান্ড আনার চেষ্টা করছে এটা শুনেছি। কিন্তু কবে কিভাবে এবং ফান্ড গঠিত হবে কাদের টাকায় এ ব্যাপারটি এখনো পরিষ্কার নয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।