আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০০ বছরের সাজাপ্রাপ্তসহ জেএমবির বন্দী ১৫ 

১৫ মামলার বিভিন্ন মেয়াদে ২০০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে বোমা হামলার জেএমবি চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান জাবেদ ইকবাল ওরফে মোহাম্মদ ওরফে আমান উল্লাহ ওরফে আবু ইরাইয়া চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারেই রয়েছে। একই সঙ্গে আরও ১৪ জন জেএমবির সদস্য কারাগারের বিভিন্ন সেলে ডাণ্ডাবেরি অবস্থায় বিশেষ নিরাপত্তায় কঠোর নজরদারিতে রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ। জেএমবি, হিযবুত তাহ্রীর এবং জামায়াতের সদস্যদের নজরে রাখতে ডেপুটি জেলারকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি মনিটরিং সেলও গঠন করেছে। শনিবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক জঙ্গিসহ তিন জেএমবি ক্যাডারকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এ নিরাপত্তা জোরদার ও বিশেষ নজরদারি করা হয়েছে বলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ছগির মিয়া জানিয়েছেন। একই সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে কারাগার ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করাসহ কারাগার থেকে আদালতে আসামিদের আনা- নেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার রফিকুল কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আরও বলেন, জেএমবি ও হিযবুত তাহ্রীরের জঙ্গিদের আলাদাভাবে বিভিন্ন সেলে রাখা হয়। এ সেলগুলোর সামনে নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি কারারক্ষী ও প্রধান কারারক্ষী দাঙ্গা দল সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া কারাগারের ভেতরে ডেপুটি জেলারের নেতৃত্বে শনিবার থেকেই একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এতে টিমের সদস্যরাই জঙ্গিদের নির্দিষ্ট সেলে রাখা, তাদের আচরণ, কর্মকাণ্ড, আদালতে হাজিরা দিতে নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় তদারক করবেন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা'আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান জাবেদ ইকবাল ওরফে মোহাম্মদসহ ১৫ জন সদস্য আছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরের সদস্য রয়েছে ৮ জন। এ ছাড়া সহিংস কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে জামায়াত-শিবিরের প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। কারাগারে ৩২ নম্বর সেলে থাকা জেএমবি ১৫ সদস্যের মধ্যে রয়েছে ২২ মামলার আসামিসহ ৪ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

এদের মধ্যে ১৫টি মামলায় ২০০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি কঙ্বাজারের আবদুল আউয়াল শিকদারের ছেলে জাবেদ ইকবাল ওরফে মোহাম্মদ (হাজতি নম্বর-৭৪৫২/এ), ৪ মামলায় ৫০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঠাকুরগাঁওয়ের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে ৬ মামলার আসামি শাহাদাত হোসেন ওরফে মাসুম বিল্লাহ (হাজতি নম্বর-১২৪৮/এ), ২ মামলার ২৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের মৃত জহিরুল হকের ছেলে ৬ মামলার আসামি আইয়ুব আলী ওরফে আবুজর (হাজতি নম্বর-৪৮০০/এ) এবং ২ মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুমিল্লার আবদুল আউয়ালের ছেলে ১০ মামলার আসামি আরসাদুল আলম (হাজতি নম্বর-৪৪৭৩/এ)। অপর ১১ জেএমবির সদস্য হলো ওবায়দুর রহমান (হাজতি নম্বর-১৫৫২১/০৭), আবদুল হাফিজ (হাজতি নম্বর-১৩২৮/০৯), আরিফুর রহমান (হাজতি নম্বর-২৭৮৩/০৬), শাকিব খান (হাজতি নম্বর-১৩৭৮/০৫), আসাদুজ্জামান (হাজতি নম্বর-১৩৭৮৯/০৫), ইসমাইল (হাজতি নম্বর-১৩৭৮৫/০৫), খোরশেদ আলম (হাজতি নম্বর-২১/০৯), আবুল কালাম আজাদ (হাজতি নম্বর-১১৭৩৩/০৫), মোশাররফ হোসেন, (হাজতি নম্বর-৭০২/১১), সাফিজুল হুজুর (হাজতি নম্বর-৭০৩/১১), শামীম হোসেন (হাজতি নম্বর-১৫৪২১/১১)। তাদের বিরুদ্ধেও চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি, পাহাড়তলী, খুলশী, বাকলিয়া, পাঁচলাইশ, হালিশহর, বন্দর, ডবলমুড়িং, কঙ্বাজার, খাগড়াছড়ি, হাটহাজারীতে ৬টিরও বেশি বিভিন্ন নাশকতার ঘটনায় মামলা রয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.