রাজশাহী মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিবির কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিউমার্কেট গেটের সামনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়াসহ গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে আগামী রবিবার হরতালের সমর্থনে শিবির কর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলটি স্মৃতি সিনেমা হলের দিকে যাওয়ার সময় টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শিবির কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় এক পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
বোয়ালিয়া থানার ওসি জিয়াউল হক জিয়া জানান, সকালে কয়েকশ শিবির কর্মী নিউমার্কেট এলাকায় জড়ো হয়ে মিছিল বের করে। নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ তাদের বাধা দিলে শিবির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। পরে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্যবিষয়ক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমাদের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। আমাদের অন্তত ১৫ কর্মী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার নগরীর মালোপাড়া থেকে শিবির নেতা সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়াসহ আটজনকে অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব। শনিবারের মধ্যে তাদের মুক্তি না দিলে রবিবার রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনা জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করার ঘোষণা দিয়েছে শিবির।
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে ছয় পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে দুই ঘণ্টাব্যাপী যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ছয় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগকে কেন্দ্র কমর গোবিন্দগঞ্জ আসনের এমপি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সমর্থিত ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজে মনোয়ার হোসেন চৌধুরী সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ, রাজু ও কাইয়ুমকে মারপিট করে আবুল কালাম আজাদ সমর্থিত ২০/২৫ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী। এর প্রতিবাদে সন্ধ্যায় শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে মনোয়ার হোসেন সমর্থিত ছাত্রলীগ কর্মীরা। মিছিলটি চতুরঙ্গ মোড়ে পেঁৗছলে আবুল কালাম আজাদ গ্রুপ সমর্থিত ছাত্রলীগ কর্মীরা মিছিলটিকে ধাওয়া করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ফলে দুই ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত সালাউদ্দিন, আবদুল ওয়াহাব, মোকলেছ, বাকের আলী ও সজীবকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।