ছোটবেলা থেকে দুঃসাহসী সব কাজ করে সবাইকে চমকে দিতেই ছিল হ্যাপীর যত আনন্দ। এর জন্য বাবা-মায়ের বকাও নেহাত কম শুনতে হয়নি। এবার নিজের কাজে নিজেই যেন চমকালেন। জীবনের প্রথম সিনেমায় মৌসুমী-শাবনূরের মতো দেশসেরা দুই অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বলিষ্ঠ অভিনয় করে রীতিমত প্রমান করলেন ‘হ্যাপী ইজ হ্যাপী’।
তরুণ পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘কিছু আশা কিছু ভালবাসা’ ছবিতে অভিনয় করে হ্যাপি এখন আলোচিত নাম।
নিজের সম্পর্কে অজানা অনেক কিছুই জেনেছেন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শক অনুভূতি পাওয়ার পর। দর্শকের করতালি আর শিষের শব্দ যেন আত্মবিশ্বাসটা এক ধাক্কায় কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বুঝতে পেরেছেন, ভাল সুযোগ পেলে আর চেষ্টাটা থাকলে সিনেমায় খুব ভাল করতে পারবেন।
ছবিতে হ্যাপীর বিপরীতে নায়ক ছিলেন আরেক নতুন মুখ আবির খান। প্রথম ছবি নিয়ে যতটা টেনশন হ্যাপীর ছিল, তার চেয়ে বেশি ছিল অন্যদের।
হ্যাপীর আত্মবিশ্বাসের কাছে সব দুঃশ্চিন্তা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। পুরোপুরি পেশাদার শিল্পীর মতো দুর্দান্ত অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিলেন পুরো শুটিং ইউনিটকে। তবে এজন্য সাধনাও নেহাত কম করতে হয়নি নবাগতাকে। ছবিটিকে জীবনের বড় এক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন। দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন।
শুটিংয়ে মৌসুমী-শাবনূরের অভিনয় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। বাড়িতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় খরচ করেছেন সিডি দেখে। আত্মস্থ করতে চেয়েছেন অভিনয়ের সবটুকু। হ্যাপীর আত্মবিশ্বাসের কাছে সব দুঃশ্চিন্তা হাওয়ায় মিলিয়ে গেল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।