৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় নির্বাচনের পর গতকাল ফের অবরুদ্ধ ছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এদিকে ঢাকায় পুলিশি বাধার মুখেই শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, রমনা, তেজগাঁও, ধানমন্ডি ও উত্তরা আজমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করেন থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতারা। মৌচাক ও কাকরাইলসহ কয়েকটি স্থানে পুলিশের হামলার মুখে মিছিল ছেড়ে সটকে পড়েন দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আবার অনেক এলাকায় তাদের নামতেই দেয়নি পুলিশ। তবে ঢাকার বাইরে বরিশাল, নেত্রকোনা, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা, যশোরসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় পুলিশি বাধার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক স্থানে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেলের মুখে পণ্ড হয়ে যায় বিএনপিরবিক্ষোভ মিছিল। নেত্রকোনায় মহিলা দলের মিছিল পণ্ড হয়ে যায় শহরের ছোট বাজার এলাকায়। তবে মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা (উত্তর), কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, গাইবান্ধা, টাঙ্গাইল, ধামরাই, নারায়ণগঞ্জ ও খাগড়াছড়িসহ যেসব এলাকায় পুলিশ বাধা দেয়নি সেসব এলাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। আগের দিন দলের শীর্ষ তিনজন নেতাকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার পর গতকাল সকাল থেকেই নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। কার্যালয়ের আশপাশে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। প্রস্তুত রাখা হয় জলকামান ও প্রিজন ভ্যান। পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদেরও দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এর ফলে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করে। কর্তব্যরত পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়। এদিকে গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি মিছিল মৌচাক থেকে কাকরাইলের দিকে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে নেতা-কর্মীরা রাস্তা থেকে সরে যায়। তবে সেখান থেকে কাউকে গ্রেফতারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।