সার নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা চলছে। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো যথেষ্ট সার মজুদ থাকা সত্ত্বেও এ খাতে অবাঞ্ছিত অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এক সপ্তাহ ধরে কারখানা ও গুদাম থেকে সার উত্তোলন না করায় কৃত্রিম সংকট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আমন ধান ও আগাম জাতের আলু রোপণের জন্য প্রয়োজনীয় সার সংগ্রহ করতে কৃষকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ডিলাররা সার উত্তোলন না করায় ৩০ হাজার খুচরা সার বিক্রেতাও বিপাকে পড়েছেন। বাফার গুদাম ও কারখানায় ইউরিয়া সারের অভিন্ন দাম রাখা এবং বীজ ডিলারদের মাধ্যমে সার বিক্রি বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন ৬ অক্টোবর থেকে সার উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধ রাখার আলটিমেটাম দিয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর তারা সংবাদ সম্মেলন করে আলটিমেটাম দেয়। এই আলটিমেটাম দেওয়ার পর থেকে সার উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধ থাকায় সংকট ঘনীভূত হয়ে উঠেছে। সার ডিলারদের ভাষ্য, ৬৪টি জেলার মধ্যে ২৭টি জেলার ডিলাররা কারখানা থেকে প্রতি কেজি ইউরিয়া সার ১৪ টাকা হারে এবং অন্য ৩৭টি জেলার ডিলাররা ১৪ টাকা ৭০ পয়সা হারে গুদাম থেকে উত্তোলন করে। ফলে গুদাম প্রান্তের ডিলাররা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তারা এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সত্ত্বেও কোনো প্রতিকার পাননি। কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একাধিকবার কথা বললেও অর্থ মন্ত্রণালয় গুরুত্ব না দেওয়ায় সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। বোরো মৌসুমের প্রাক্কালে সার ডিলারদের ধর্মঘট সার বিপণন ব্যবস্থায় সংকট সৃষ্টি করেছে। সারের পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও সার ডিলাররা সার উত্তোলন না করায় কৃষকরা সার পাচ্ছেন না। সার ডিলাররা যেসব দাবি পূরণে সরকারকে আলটিমেটাম দিয়েছেন, তার বেশির ভাগই যৌক্তিক। কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের মনোভাবও সার ডিলারদের পক্ষে। ফলে সংকট ঘনীভূত হওয়ার আগেই এ ব্যাপারে সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে_ আমরা এমনটিই আশা করছি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।