হরতাল ও অবরোধকেন্দ্রিক সহিংসতায় অচল হয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। চট্টগ্রাম বন্দরে আটকা পড়েছে ২৭ হাজার কনটেইনার। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্তব্ধ হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায়। বেড়েই চলেছে প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে পিয়াজের দাম অন্তত তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঠিক এ অবস্থায় আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছে চট্টগ্রাম পানগাঁও নৌপথে পণ্য পরিবহন শুরু হওয়ার ঘটনা। একমাস আগে প্রধানমন্ত্রী এ রুটটির উদ্বোধন করলেও রবিবারই প্রথম পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। ৭৫টি পণ্যভর্তি ও খালি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পানগাঁওয়ের পথে রওনা দেয় পানগাঁও এঙ্প্রেস নামের জাহাজ। বন্দরে জমে থাকা কাস্টমস কার্যক্রম সম্পাদিত কনটেইনারগুলোই আপাতত এই পথে পরিবহন করা হবে। চট্টগ্রাম-পানগাঁও নৌপথ চালু হওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক অবস্থায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর চাপ কিছুটা হলেও কমাবে। পরিবহন ব্যয়ও এর ফলে তুলনামূলকভাবে হ্রাস পাবে। রাজপথের সহিংসতা থেকে মুক্তি পাবেন ব্যবসায়ীরা। এমন এক সময় চট্টগ্রাম পানগাঁও নৌরুট চালু হলো যখন দেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দরে ২৭ হাজার কনটেইনার আটকা পড়েছে। জাহাজ থেকে মালামাল নামানো ও জাহাজে উঠানোর ক্ষেত্রে অনর্থক বিলম্ব ব্যবসায়ীদের বাড়তি খরচের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সারা দেশে নিত্যপণ্যের সংকটও অনিবার্য হয়ে উঠছে। চট্টগ্রাম পানগাঁও নৌরুট চালু হওয়ায় বিদ্যমান সংকট নিরসনে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখতে পারবে। পরিবহন ব্যয় কমিয়ে আনা সম্ভব হলে পণ্যের দামে তার শুভ প্রতিক্রিয়া পড়বে। চট্টগ্রাম পানগাঁও নৌরুট চালু একটি ইতিবাচক ঘটনা বলে বিবেচিত হলেও রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর এই বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থার সাফল্য-ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভরশীল। রাজপথের সহিংসতা যাতে নৌপথে ছড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারে রাজনৈতিক নেতাদের সুমতির পরিচয় দিতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।