পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির পর এবার ব্রিগেডে জনসভার পালা বামফ্রন্টের। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে জনসভা করতে চলেছে তারা। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তাদের ভোট ছিল ৪১ শতাংশ, ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ও পৌরসভার নির্বাচনে সেই হার গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯ শতাংশের কিছু বেশি। বারংবার বাম শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া হলেও কর্মীদের ভাঙা মনোবলে অঙ্েিজন জোগাতে পারেনি কোনো নেতাই। একটা সময় ব্রিগেড ভরা তো উত্তর ও দক্ষিণ চবি্বশ পরগনা ও পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও বর্ধমান জেলার কর্মী সমর্থকরা। পঞ্চায়েত ও পুরভোটের শোচনীয় পরাজয়ের পর দুই চবি্বশ পরগনায় কার্যত হোয়াইটওয়াশ হয়ে গিয়েছে বামেরা। অতি সম্প্রতি উত্তর চবি্বশ পরগনা জেলা সিপিআইএমের ডাকে ধর্মতলার রানী রাশমণি রোডে এক জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল, জমায়েতও কম হয়নি। কিন্তু দলের নীতি বা নতুন কোনো ইস্যু কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে পারেনি। এক সময়ের দলের শক্ত ঘাঁটি বর্ধমানে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে রাজনৈতিক পটভূমি। আরও দুটি জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত সিপিআইএম। হাওড়া জেলায় দলের অবস্থাও তথৈবচ। এরই মধ্যে ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের সমাবেশ। সিপিআইএম ও অন্যান্য বাম দলগুলোর বামকর্মদের ভাঙা মনোবল আদৌ কতটা ফেরে সেটা সময়ই বলবে। নন্দীগ্রাম ইস্যুতে একটু আক্রমণাত্দক হওয়ার চেষ্টা করেছিল বামেরা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।