কমনওয়েলথ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গাম্বিয়া। দেশটি জানিয়েছে, তারা আর কোনো নয়া ঔপনিবেশিক সংস্থার সদস্য থাকবে না। সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল এমন ৫৪টি রাষ্ট্রকে নিয়ে গঠিত কমনওয়েলথ। ব্রিটেনের রানি এখনো এ সংস্থাটির প্রধান।
‘দ্য গার্ডিয়ান’ বলছে, গতকাল বুধবার রাতে পশ্চিম আফ্রিকার এ দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কমনওয়েলথ পরিত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ ঘোষণা কমনওয়েলথভুক্ত অনেক রাষ্ট্র ও ব্রিটেনের কাছে অপ্রত্যাশিত বলে মনে হয়েছে। ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, কেন গাম্বিয়া কমনওয়েলথ ত্যাগ করলো, তা তাদের কাছে পরিষ্কার নয়।
গাম্বিয়ার টেলিভিশনে প্রচারিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকার ব্রিটিশ কমনওয়েলথ থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভবিষ্যতে গাম্বিয়া আর কোনো নয়া ঔপনিবেশিক সংস্থার অথবা উপনিবেশের পরিধি বিস্তারে সহায়তা করে, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের সদস্য হবে না। ’
ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘কমনওয়েলথের সদস্য থাকা বা না থাকার বিষয়টি নির্ভর করে প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের ওপর। গাম্বিয়া বা অন্য কোনো রাষ্ট্র কমনওয়েলথ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে, সেটি অবশ্যই আমাদের জন্য পরিতাপের বিষয় হবে।
’
১৯৬৫ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর গাম্বিয়া কমনওয়েলথে যোগদান করে। ব্রিটেন ও অন্য অনেক দেশের পর্যটকদের অবকাশ যাপনের জন্য একটি প্রধান গন্তব্যস্থল ছিল গাম্বিয়া। কিন্তু দেশটির সঙ্গে তার সাবেক ঔপনিবেশিক প্রভুর সম্পর্ক রাজনৈতিক কারণে খুব বেশি ভালো ছিল না।
গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জামেহের সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে যুক্তরাজ্য।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।