জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অচলাবস্থা কাটেনি। উভয় পক্ষের অবস্থান কর্মসূচির চতুর্থ দিনে আজ শুক্রবারও নিজ নিজ অবস্থানে অনড় ছিল উপাচার্য এবং সাধারণ শিক্ষক ফোরাম।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা। তাঁদের মধ্যে বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরাও ছিলেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের অনেকে বলছেন, ছাত্রলীগের মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
তবে উপাচার্য আনোয়ার হোসেন বলছেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যার কথা জানাতে এসেছিল। ’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সেখানে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরাও ছিলেন। তাঁরা হলেন মার্কেটিং বিভাগের ৪০তম ব্যাচের মাজেদুল সীমান্ত। তিনি কিছুদিন আগে অস্ত্রসহ আটক হয়েছিলেন। এ ছাড়া ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার দিন মওলানা ভাসানী ও শহীদ রফিক জব্বার হলের সহিংসতায় নেতৃত্বদানকারী ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত কর্মী ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪০তম ব্যাচের নুরুন্নবী, ছাত্রী লাঞ্ছনার অভিযোগে বহিষ্কৃত দর্শন বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের তানভীর, ইতিহাস বিভাগের ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট কর্মীদের পেটানোর দায়ে বহিষ্কৃত ইতিহাস বিভাগের ৪০তম ব্যাচের মহিতোষ রায় টিটো ও বশিরুল হক।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাই তারা আমার সঙ্গে তাদের সমস্যার ব্যাপারে কথা বলতে এসেছিল। কিন্তু কারা ছাত্রলীগ করে বা কে বহিষ্কৃত, তা আমি জানি না। ’
এদিকে উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাঁর বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথা জানিয়েছে শিক্ষক ফোরাম।
ফোরামের অবস্থান কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন উপাচার্য। আজও নিজ বাসভবনে প্রবেশ করেননি তিনি।
আজ দুপুরে উপাচার্য প্রথম আলো ডটকমকে জানান, শিক্ষকেরা না সরা পর্যন্ত বাসভবনে প্রবেশ করবেন না তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।