জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে শোকজ করায় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে তার বাসভবনের ভেতরে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান নিয়েছেন 'সাধারণ শিক্ষক ফোরাম'। শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে শোকজ ও দু'হল প্রাধ্যক্ষকে অপসারণের প্রতিবাদে রোববার রাত ১০ থেকে অবস্থান করছেন তারা।
জানা যায়, শিক্ষক সমিতির চলমান ধর্মঘট চাকরি বিধির লঙ্ঘন বলে সংগঠনের সভাপতিকে এক কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নোটিশে বলা হয়, তিনি (সভাপতি) কেন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন এবং প্রত্যাহার না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই পরিপেক্ষিতে গতকাল রোববার রাত ১০ টার দিকে সংগঠনের শিক্ষক নেতারা উপাচার্যের কাছে জানতে আসেন তিনি কেন এমন নোটিশ জারি করেছেন।
এসময় উপাচার্য কোনো কথা না বলেই নিশ্চুপ ছিলেন।
শিক্ষকরা দাবি তোলেন আপনি শিক্ষক সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন তা আমাদের সবার বিরুদ্ধে নিতে হবে, আপনাকে এখনি পদত্যাগ করতে হবে, পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। শিক্ষকরা এসময় উপাচার্য চরমপন্থী রাজনীতিবিদ, জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক, বঙ্গবন্ধুতে ভীত একজন বিকৃত মস্তিস্কের মানুষ হিসেবে আখ্যা দেন।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আপনার যে তিনটি দাবি তুলেছেন তার একটি সম্পর্কেও আমি এখন কোনো কথা বলবো না। আপনারা এখন বাসায় যান আমি পরে এ বিষয় নিয়ে কথা বলবো।
'
শিক্ষক ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, 'উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষকরা উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে অবস্থান করবে।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাধারন শিক্ষক ফোরামের আন্দোলনকারী শিক্ষকরা উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে অবস্থান অব্যাহত রেখেছেন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।