পর্ব-৩
ফিরে আসা যাক পাকিস্তান আন্দোলন প্রসঙ্গে। পাকিস্তান দাবি ও আন্দোলন চরম প্রতিক্রিয়াশীল হলেও তা মৌলবাদী আন্দোলন ছিল না। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের ইসলামী মৌলবাদের মূল চারটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে তিনটি বৈশিষ্ট্য পাকিস্তানি ভাবাদর্শের মধ্যে বিদ্যমান ছিল_ হিন্দু বিদ্বেষ, ভারত বিদ্বেষ ও বাঙালি সংস্কৃতি বিদ্বেষ। মৌলবাদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য নারী বিদ্বেষের বিষয়টি অবশ্য পাকিস্তান আন্দোলনের মধ্যে ছিল না।
পাকিস্তানের ভাবাদর্শগত ভিত্তি যাই হোক না কেন, বাংলাদেশের মুসলমান জনগণ পাকিস্তানের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে।
এ দেশের কৃষকের সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল মুসলমান। অন্যদিকে জমিদারদের প্রায় সবাই ছিল হিন্দু। তাই কৃষক ভেবেছিল পাকিস্তান হলে তারা জমিদারি শোষণ থেকে মুক্ত হবে। মধ্যবিত্ত মুসলমানরা শিক্ষা, চাকরি ও ব্যবসায়ে হিন্দুদের পেছনে পড়ে ছিল। তারা ভেবেছিল, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হলে তাদের দ্রুত উন্নতি হবে।
অতএব, পাকিস্তান আন্দোলনের মধ্যে এক ধরনের শ্রেণী বিবেচনা ছিল। তবে একে শ্রেণী সংগ্রাম বলা হবে মস্ত ভুল।
পাকিস্তানে ২৪ বছরে যে সব বড় বড় জাতীয় নেতা জনগণকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তারা সবাই ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের নেতা ও কর্মী। একে ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী, শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও তরুণ শেখ মুজিবুর রহমান_ সবাই ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের নেতা ও কর্মী। তারা মৌলবাদী ভাবাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন অথবা সাম্প্রদায়িক ছিলেন এমনটা নিশ্চয়ই বলা যাবে না।
অবশ্য সোহরাওয়ার্দী কলকাতায় দাঙ্গা সংঘটিত করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে। পরবর্তীতে দেখেছি, শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে উঠেছিলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রধান প্রাণপুরুষ। আর মওলানা ভাসানী ছিলেন বাম প্রগতিশীল শিবিরের শীর্ষ নেতা। এটা কেমন করে হলো? যারা একদা পাকিস্তানের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন মাত্র ২৪ বছর পর তাদেরই সন্তানরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিল। এটাই বা কীভাবে হলো?
পাকিস্তান আন্দোলন (১৯৪৭) থেকে বাঙালীয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ (১৯৭১), ২৪ বছরে জনগণের চেতনায় যে বিরাট পরিবর্তন ঘটেছিল, তার ইতিহাস পাঠ করলে বাংলাদেশের জনগণের ঐতিহ্যগতভাবে গড়ে ওঠা মানসিক গড়ন সম্পর্কেও ধারণা করা সম্ভব হবে।
তাহলে এটাও বোঝা যাবে যে, এই দেশে মৌলবাদের শক্ত ভিত্তি কোনো দিনই তৈরি হতে পারবে না।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার অল্প দিন পরই জনগণের মোহভঙ্গ শুরু হয়েছিল। ১৯৪৮ সালেই মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তানের জন্য স্বায়ত্তশাসনের দাবি তোলেন। তখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বাংলা রাষ্ট্রভাষার দাবি উত্থাপন করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা দল মুসলিম লীগের ভরাডুবি হয়। সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গনে ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী চেতনার বলিষ্ঠ উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পাকিস্তানি ভাবাদর্শের পরাজয় ঘটতে থাকে। ২৪ বছরে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যে প্রগতিমুখী পরিবর্তন ঘটেছিল, তার মধ্যে অবশ্য কিছু ওঠানামা ছিল। যেমন ১৯৫৬ সালে সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েই বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন।
তিনি পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবি অস্বীকার করেছিলেন। বলেছিলেন পাকিস্তানের সংবিধানে (১৯৫৬ সালের) ৯৮ শতাংশ ইতোমধ্যেই অর্জিত হয়েছে। ফলে প্রগতির ধারা দারুণভাবে হোঁচট খেয়েছিল। এই প্রশ্নে ভাসানী ও সোহরাওয়ার্দীর মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। ভাসানী পূর্ব পাকিস্তানের পরিপূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে।
এটা দুঃখজনক হলেও সত্য যে, শেখ মুজিবুর রহমান তখন সোহরাওয়ার্দীর পক্ষ অবলম্বন করার কারণে মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসে গঠন করলেন নতুন দল সাম্রাজ্যবাদবিরোধী বামঘেঁষা প্রগতিশীল দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, সংক্ষেপে 'ন্যাপ'। এ ঘটনার ঠিক ১০ বছর পর শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয় দফা পেশ করে বাঙালি জাতীয়তাবাদী ধারায় সমগ্র জনগণকে জাগিয়ে তুললেন। পাকিস্তান আমলে ১৯৫০ ও ১৯৬৪ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল। ১৯৬৪ সালের দাঙ্গার সময় বাঙালি মুসলমান মধ্যবিত্ত দাঙ্গার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। ষাটের দশক থেকে বলা যায়, পাকিস্তানি ভাবাদর্শ আর জায়গা করতে পারেনি।
মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা অনেক দূরে সরে গিয়েছিল। তখনো জামায়াত ও তার ছাত্রসংগঠন ছিল। কিন্তু বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেই ছাত্র সংগঠনের ভোটসংখ্যা ছিল নগণ্য। ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীনে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক বিজয় ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদেরই বিজয়।
পাকিস্তান আমলের দুটি ঘটনার কথা উল্লেখ করতে চাই।
১৯৫৪ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের ধর্মীয় পীররা একত্রে একটা বিবৃতি মারফত ফতোয়া দিয়েছিলেন। ফতোয়া ছিল এ রকম_ 'মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে ভোট দিলে বিবি তালাক হয়ে যাবে। ' এটি ছিল মৌলবাদী প্রচারণা ও ভণ্ডামির চরম প্রকাশ। আমরা জানি, এ ফতোয়া কোনো কাজে আসেনি। তার মানে ওই সব পীরের মুরিদ ও ভক্তরাও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে পীরের নির্দেশ মেনে চলেননি।
এতেই বাঙালি মুসলমান জনগণের মানসিক গড়নের পরিচয় পাওয়া যায়। যেখানে মৌলবাদের কোনো স্থান নেই।
১৯৭০-এর নির্বাচনের সময় মুসলিম লীগ স্লোগান দিত 'জয় বাংলা জয় হিন্দ, লুঙ্গি ছেড়ে ধুতি পিন্দ। ' বলাই বাহুল্য, এর মধ্যে জঘন্য সাম্প্রদায়িক গন্ধ আছে। জয় বাংলা স্লোগানকে হিন্দুয়ানি বলে দেখানোর চেষ্টা ছিল।
কিন্তু কোনো কাজে আসেনি। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে জয় বাংলা ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় স্লোগান, যা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্ভব প্রেরণা ও উৎসাহ জোগাতো।
এভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে, বাংলার মাটিতে ধর্মীয় মৌলবাদ কখনোই বিস্তার লাভ করতে পারেনি। বাংলার জনগণ ঐতিহ্যগতভাবে যে মানসিক গড়ন লাভ করেছে, সেই মানসিক ক্ষেত্রে মৌলবাদের চাষ কোনো ফসল ফলাবে না।
তবু এখন মৌলবাদ বেশ ভয়াবহরূপে আত্দপ্রকাশ করেছে।
পাকিস্তান আমলে যে জামায়াত প্রমুখ মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক দলের ভোট ছিল নগণ্য, এখন তারা পাঁচ শতাংশের মতো ভোট পায়। ভোটের সংখ্যা এখনো বেশি নয়। কিন্তু বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মতো দলের মধ্যেই মৌলবাদের কিছুটা বিস্তৃতি ঘটেছে আশঙ্কার কারণ সেখানেই।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে মৌলবাদী জঙ্গি তৎপরতা যে আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তার কারণ প্রধানত দুটি। এক. তথাকথিত মূল ধারার বুর্জোয়া দলগুলোর ধারাবাহিক ব্যর্থতা, ধনী দরিদ্রের বৈষম্য বৃদ্ধি, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, সামাজিক অনাচার ইত্যাদি।
এ অবস্থায় কমিউনিস্ট বাম শক্তি জনগণকে সামাজিক বিপ্লবের পথে টানতে পারত। কিন্তু নানা কারণে তারাও ব্যর্থ হয়েছেন। মানুষের হতাশা ও পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে কাজে লাগিয়েছে মৌলবাদী শক্তি। 'আল্লাহর পথে' মুক্তির এক ধরনের আশ্বাস দিয়ে জনগণের একটা অংশকে টানতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি তথাকথিত মূলধারার বুর্জোয়া শাসক দলগুলোও ক্রমাগত আপস করে চলছে মৌলবাদী দলগুলোর সঙ্গে অথবা মৌলবাদী ভাবাদর্শের সঙ্গে।
(এই প্রবন্ধের শুরুতে রাজনৈতিক ভাবাদর্শগত আপসের কিছু উদাহরণ উল্লেখ করা হয়েছে)।
মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রগুলো মৌলবাদী ধ্যানধারণা বিস্তারের জায়গায় পরিণত হয়েছে, যেখানে ধর্মনিরপেক্ষ ও বৈজ্ঞানিক শিক্ষার বিপরীতটাই শেখানো হয় এবং মগজে ঢোকানো হয়। বিগত ৪২ বছরে মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য সরকারি ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাতের তথ্যানুযায়ী, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে মূলধারার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেলেও দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা বেড়েছে আটগুণ। সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের প্রতি ছাত্রের জন্য সরকারি ব্যয় হচ্ছে তিন হাজার টাকা।
কিন্তু মাদ্রাসার ক্ষেত্রে তা হচ্ছে পাঁচ হাজার টাকা।
মৌলবাদীরা মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিক্রিয়াশীল মুসলিম রাষ্ট্রসমূহ থেকেও যথেষ্ট আর্থিক সাহায্য পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী প্যান ইসলামী মতবাদ বিস্তারের ক্ষেত্রে পেট্রো ডলার একটা বড় ভূমিকা রেখেছে। উপরন্তু বিশ্বায়ন, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন এসবের প্রতিক্রিয়ায় মৌলবাদের প্রতি আরব জনগণ বেশি করে ঝুঁকছে। তার প্রভাবও পড়েছে আমাদের দেশে।
১৯৯১ সালের টঘউচ-এর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'বিশ্বজোড়া ভোগবাদী সংস্কৃতি এবং সাংস্কৃতিক মমস্বত্বতা গড়ে তোলার জেরে মৌলবাদী তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ... স্থানীয় আঞ্চলিক সংস্কৃতির চর্চায় ফের উৎসাহ দেখা দিচ্ছে, রাজনৈতিক আন্দোলনে স্থানীয় সংস্কৃতি ও আত্দপরিচয় রক্ষার প্রশ্নটি গুরুত্ব পাচ্ছে। শীতল যুদ্ধ-পরবর্তী পৃথিবীতে সংস্কৃতির বিষয়টি রাজনীতিতে মতাদর্শের জায়গা নিচ্ছে। মৌলবাদী আন্দোলনগুলোর বিকাশের মধ্যে তা প্রতিফলন হচ্ছে। '
বাংলাদেশের মৌলবাদী দলগুলো বিশেষত জামায়াত কি পরিমাণ বৈদেশিক সাহায্য পেয়েছে তার সঠিক হিসাব আমাদের জানা নেই।
তবে তাদের রয়েছে বিশাল আর্থিক সম্পদ। ব্যাংক, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থা, এনজিও, স্কুল, মাদ্রাসা, মিডিয়া ইত্যাদি। অধ্যাপক আবুল বারকাতের হিসাব মতে, এসব থেকে প্রতি বছর নিট মুনাফা আসে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার, যার ১০ শতাংশ ব্যয় হয় দলীয় কাজে (তাদের পঞ্চাশ হাজার বেতনভুক্ত সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক কর্মী আছে)।
সব মিলিয়ে জামায়াতসহ মৌলবাদী শক্তি বিশাল আকার ধারণ করেছে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে তাদের লোক রয়েছে।
বিশাল মাপের অর্থনীতিকে তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। তারপরও যতটা শক্তিশালী তাদের হওয়ার কথা, ততটা কিন্তু নয়। তার কারণ বাংলার মাটিতে এই ভাবাদর্শ অনুকূল পরিবেশ কখনো পায়নি, পাবেও না। তবু মৌলবাদকে এখনই সর্বশক্তি দিয়ে পরাজিত করা দরকার। কাজটা জরুরি হয়ে উঠেছে।
রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক সংগ্রাম জোরের সঙ্গে শুরু করা দরকার। শ্রেণী সংগ্রাম যত বিকশিত হবে, মৌলবাদ তত দুর্বল হবে। অতএব, শ্রেণী সংগ্রামকে সবল ও ত্বরান্বিত করাও জরুরি। এ কাজটি করবে বাম শিবির। তা ছাড়া সাংস্কৃতিক আন্দোলন এবং নারী আন্দোলন দ্বারাও মৌলবাদকে পরাস্ত করতে হবে।
সাম্প্রদায়িক সমস্যা ও মৌলবাদের উৎপাত বেশ জটিল বিষয়। তাই নানা দিক থেকে আক্রমণ পরিচালনা করতে হবে কৌশল ও যোগ্যতার সঙ্গে এবং অবশ্যই নীতিনিষ্ঠভাবে। এ প্রবন্ধের সমাপ্তি টানতে চাই এ কথা বলে যে, মৌলবাদকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করা সম্ভব, কারণ বাংলার জনগণের ঐতিহ্যের মধ্যে চারিত্রিক ও মানসিক গড়নের মধ্যেই রয়েছে বিপুল পরিমাণে ধর্মীয় মৌলবাদবিরোধী উপাদান।
লেখক : রাজনীতিক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।