রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী ও মো. ফারুক হোসেনকে আট দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবদুস সালাম এ আদেশ দেন।
এর আগে নয়ন ও ফারুককে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রত্যেককে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁদের জামিনের আবেদন নাকচ করেন আদালত।
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের খসড়া ফাঁস হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক হোসেনকে গতকাল শুক্রবার গ্রেপ্তার করে ডিবি। নয়ন ট্রাইব্যুনালের দৈনিক হাজিরাভিত্তিক (মাস্টার রোল) পরিচ্ছন্নতাকর্মী। আর ফারুক সাঁটলিপিকার।
এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার নয়নসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে ডিবি। সাকার আইনজীবী ফখরুল ইসলামের সহকারী মেহেদী হাসান ও আইসিটির আরেক কর্মচারী মো. ফারুক হোসেন মামলার আসামি।
ডিবি জানায়, অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ও প্ররোচনার ফাঁদে ফেলে নয়নের মাধ্যমে রায়ের খসড়াটি ট্রাইব্যুনালের কম্পিউটার থেকে নিয়েছেন মেহেদী হাসান। মেহেদী আর নয়নের মধ্যস্থতাকারী হচ্ছেন ফারুক। তবে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত মঙ্গলবার বিএনপির নেতা সাকা চৌধুরীর মামলার রায়ের দিন তিনি ও তাঁর পরিবার অভিযোগ তোলেন, ওই রায়ের কপি আগের দিনই একটি ওয়েবসাইটে পেয়েছেন তাঁরা। এ ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার নাসির উদ্দিন মাহমুদ বুধবার শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
ট্রাইব্যুনালের কম্পিউটার থেকে রায়ের খসড়া ফাঁস হয়ে থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় নয়নসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় নয়ন ও ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি একজন পলাতক। তবে ডিবির সূত্রগুলো জানায়, বাকি একজন হলেন মেহেদী হাসান।
অর্থের লোভ দেখিয়ে রায়ের খসড়া চুরি!
নয়নের ১০ দিন রিমান্ড চায় ডিবি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।