এ সহিংসতার জন্য ধর্মীয় ও জাতিগত চরমপন্থীরা দায়ী বলে রয়টার্সের এক তদন্তে বের হয়ে এসেছে।
চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে দাঙ্গা শুরু হয়ে পরবর্তী চারদিন ধরে চলে।
জানা গেছে, ২৯ সেপ্টেম্বর থান্ডাবি’র এক বৌদ্ধ ট্যাক্সি চালক ও এক মুসলিম দোকানদারের ঝগড়ার সূত্র ধরে দাঙ্গা শুরু হয়।
ওই ট্যাক্সি চালক পুলিশের কাছে অভিযোগ করে, দোকানের সামনে গাড়ি রাখার পর মুসলিম দোকানদার তার ওপর হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ওই দোকানদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ, পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনার জের ধরে রোববার বৌদ্ধদের উত্তেজিত একটি দল মুসলিম দোকানদারের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা মুসলিমদের বেশ কয়েকটি বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
এরপর মঙ্গলবার ছুরি ও লাঠি সজ্জিত উত্তেজিত বৌদ্ধদের আরো বড় একটি দল মুসলিমদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। তারা ৯৪ বছর বয়সী এক মুসলিম নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
এছাড়া আরো চার মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উত্তেজিত এই বৌদ্ধরা খিন নায়ঙ নামের এক মুসলিম ব্যক্তিকে কেটে টুকরো টুকরো করে ছিন্ন অংশগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
এতে তাকে শনাক্ত করা এতই কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে যে তার নিজের ছেলেও বাবার লাশ শনাক্ত করতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে পরনের কাপড় দেখে লাশ শনাক্ত করা হয়।
এসব হামলায় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২০১২ সালের জুন মাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত দাঙ্গায় মিয়ানমারে অন্ততপক্ষে ২শ’ ৪০ জন মানুষ নিহত হয়েছে।
ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ। নিহত ও উদ্বাস্তুদের অধিকাংশই মুসলিম।
থান্ডবির সাম্প্রতিক এই সহিংসতার জন্য চরমপন্থী বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ৯৬৯ আন্দোলন ও একটি রাখাইন রাজনৈতিক দল দায়ী বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্বাধীন ৯৬৯ আন্দোলন ইসলামকে হুমকি হিসেবে ঘোষণা করে আন্তঃধর্ম বিবাহ বন্ধ করার এবং মুসলিমদের পরিচালিত ব্যবসা-বাণিজ্য বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।