মানুষ মানুষের জন্য। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে নতুন করে শুরু হওয়া জাতিগত সহিংসতায় ২২ হাজারের বেশি লোক গৃহহীন হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই মুসলিম। আজ রোববার জাতিসংঘ এ তথ্য জানায়। এদিকে এ সহিংসতায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন।
বিবিসি ও ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের প্রধান অশোক নিগাম বলেন, চলতি সপ্তাহে এ সহিংসতায় আজ ভোর পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ২২ হাজার ৫৮৭ জন লোক গৃহহীন হয়েছে এবং চার হাজার ৬৬৫টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গৃহহীন ব্যক্তিদের মধ্যে ২১ হাজার ৭০০ জনই মুসলিম উল্লেখ করে অশোক নিগাম বলেন, ‘এটি আমাদের প্রাথমিক তথ্য। আমাদের আশঙ্কা, এ সংখ্যা বাড়তে পারে। ’
গৃহহীন ব্যক্তিদের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতিউইয়ের দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে অশোক নিগাম বলেন, এখনো ২২ হাজার লোক তাদের বাড়িঘরে রয়েছে।
তবে এই হিসাবের বাইরে রয়েছে পানিতে ভাসতে থাকা মানুষজন।
সরকারের স্বীকারোক্তি
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের মুখপাত্র জ হতে বিবিসিকে বলেন, রাখাইন রাজ্যের সব গ্রাম ও শহরের কিছু অংশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২৫ অক্টোবর এ ধ্বংসযজ্ঞের স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে। এর পরপরই প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সরকার রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করছে।
‘সেসব এলাকায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রয়োজনে আরও পুলিশ ও সেনাসদস্য পাঠাব। ’
মানবাধিকার সংগঠনের প্রকাশ করা স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, রাখাইন রাজ্যের উপকূলবর্তী শহর কায়াউকপুতে প্রায় ৩৫ একর জায়গা আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। ধ্বংস হয়েছে ৮০০টিরও বেশি ঘরবাড়ি। ধ্বংস হয়ে যাওয়া এই ৩৫ একর জায়গার বাসিন্দাদের বেশির ভাগই মুসলিম রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এই এলাকা থেকে অনেকেই নৌকায় করে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।