নে পি দওয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয় এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন এই জোটের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের স্বাগত জানান।
স্বাগত বক্তব্যের পর শীর্ষ নেতারা সাতটি ‘ক্রিস্টাল বলে’ স্পর্শ করলে তাতে ভেসে ওঠে সাত দেশের পতাকা। এ সময় জোটভুক্ত দেশগুলোর পরিচিতি ও জোটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
এরপর সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় মূল সম্মেলন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সেরিং টোবগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মহিন্দা রাজাপাকসে, থাইল্যান্ডের বিশেষ দূত ও বিমসটেকের মহাসচিব সিহাসাক ফুয়াংকেটকো এবং মিয়ানমারে এডিবির মিশন প্রধান পুটু কামায়ানা উদ্বোধনী অনসুষ্ঠানে অংশ নেন।
এছাড়া জোটের শীর্ষ নেতারা গত শীর্ষ সম্মেলনের পর অর্জিত অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন এবং সংস্থার যৌথ অঙ্গীকারের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় ও ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ করবেন।
দুপুরে বিমসটেক সরকারপ্রধানরা হাজির হবেন যৌথ সংবাদ সম্মেলনে।
এই সম্মেলনে যোগ দেয়ার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও অংশ নেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
১৯৯৭ সালে গঠিত বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেকটরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক কো-অপারেশনের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন ২০০৪ সালে ব্যাংককে এবং ২০০৮ সালে নয়া দিল্লিতে দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটানের এই জোটের এ অঞ্চলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি, পরিবহন ও যোগাযোগ, পর্যটন, কৃষি, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, আন্তঃযোগাযোগ, সন্ত্রাস ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করার কথা।
সফর শেষে রাতে রাত ৮টায় মিয়ানমার ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।