পাকিস্তানি তালেবান উগ্রপন্থী মুসলমানদের সংগঠিত করে এ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে ওই ফোরাম জানিয়েছে। এ জঙ্গি গ্রুপের নাম দেয়া হয়েছে ‘রোহিঙ্গা মুজাহিদিন’।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিডল ইস্ট মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জিহাদ ও সন্ত্রাসবাদ হুমকি পর্যবেক্ষণকারী ইউনিটের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) এ তথ্য জানিয়েছে।
তারা বলছে, গত ১২ জুলাই বাব-এ-ইসলাম জিহাদি ইন্টারনেট ফোরাম ওই সব আলোকচিত্র প্রকাশ করে। তাদের আলোকচিত্রে দেখা যায়, পাকিস্তানি তালেবানের গড়ে তোলা জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা মিয়ানমারের কোনো একটি জায়গায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
আরাহমাহ ডটকমের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই ইন্টারনেট ফোরামের একটি ছবিতে দেখা যায়, জঙ্গি প্রশিক্ষণার্থীরা নামাজ পড়ছেন।
বাব-এ-ইসলাম জিহাদি ইন্টারনেট ফোরামের উর্দু ভাষায় দেয়া একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করে মিডল ইস্ট মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানায়, কমান্ডার আবু সুফিয়া ও আবু আরিফের নেতৃত্বে নতুন এই জিহাদি বাহিনী মিয়ানমারে প্রবেশ করেছে।
“তারা সম্প্রতি মিয়ানমারের দুটি সামরিক যান ধ্বংস করেছে এবং ১৭ জন সৈন্যকে হত্যা করেছে। এছাড়া তারা তিন জন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর শিরচ্ছেদ করেছে, যারা মুসলিম হত্যায় জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। নিহতদের মধ্যে একজন ধর্মগুরুও রয়েছেন।
”
গত বছর মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার হয় মুসলিম রোহিঙ্গারা। সে সময় সহিংসতায় কয়েকশ’ রোহিঙ্গার প্রাণহানির পাশাপাশি কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়।
ইন্টারনেটে প্রকাশিত আলোকচিত্রে দেখা হয়, এক থেকে দুইশ’র মতো রোহিঙ্গা মুজাহিদিন সামরিক পোশাকে গুলি চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বাব-এ-ইসলামের মাধ্যমে মূলত আনসারুল্লাহ জিহাদি ফোরাম উর্দু ভাষায় ইন্টারনেটে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।