কিছুতেই যখন শিশুদের বমি
বন্ধ হয় না তখন প্রতিটি মা কঠিন কোনো রোগের কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বমির কারণ জানা থাকলে মায়েদের অহেতুক দৌড়ঝাঁপ, দুশ্চিন্তা কমার পাশাপাশি শিশুর সঠিক পরিচর্যায় মনোনিবেশ করতে পারেন। জন্মের পর থেকে প্রথম ছয় মাস বমি হওয়ার পেছনে দুটো স্বাভাবিক কারণ থাকে। প্রথমত. দুধ খাওয়ার পর
শিশুকে বেশি নাড়াচাড়া করলে পেটে চাপ পড়ে। শিশুদের খাদ্যনালি বড়দের মতো সুগঠিত না হওয়ায় সামান্য চাপে পেটের দুধ বমি হয়ে বেরিয়ে আসে। এ জন্য দুধ খাওয়ানোর পর ১৫-২০ মিনিট শিশুকে শুইয়ে রাখা উচিত। দ্বিতীয়ত. শিশু যদি নিপলের সামান্য অংশ চুষতে থাকে তাহলে দুধের পাশাপাশি পেটে কিছু বাতাস ঢুকে যায়। কিছুক্ষণ পর এই বাতাস মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে এবং দুধ
বমি হয়ে বেরিয়ে আসে। ছয় মাস পর শিশুকে দুধের পাশাপাশি স্বাভাবিক সব খাবারে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত করে নিতে হয়। প্রথম দিন এক চামচ খিচুড়ি, দ্বিতীয় দিন দু'চামচ এভাবে; কিন্তু অনেক মা প্রথম দিন খিচুড়ি, একটি ডিম বা কলা খাইয়ে
পেট ভরাতে চান। শিশুরা এই অচেনা খাবার প্রথম দিনই হজম করতে পারে না, ফলে বমি হয়। প্রতিবার নতুন খাবার খাওয়ানোর পর বমি হয়। শিশুরা যখন হামাগুড়ি দিতে শেখে তখন মেঝের ওপর পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনা খেয়ে ফেলে, ময়লা হাত মুখে দিয়ে চুষতে থাকে, যার ফলে বমি হয়। স্বাভাবিক কারণগুলো প্রতিকারের পরও যদি বমি হয় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কারণ কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক কারণেও বমি হয়।
ডা. আনিস আহমেদ
সহকারী অধ্যাপক, স্টেট কলেজ অব হেলথ সায়েন্সেস, ঢাকা।
ফোন : ০১৭১৫-৫০৭৭৭৭
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।