আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবিতাঃ গাঁয়ের শিমুল ফুল

আলমগির সরকার 'লিটন' বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার সারি সারি সুপ্রশার বাধ,বাধের দুধারে সবুজ শ্যামল অপরূপ দোল খাওয়নো কলা গাছ যেনো টলটল করা যমুনার পাগলা স্রোতে সাথে মিশে যাওয়া 'সরকার বাড়ির'এক সাধারণ পরিবারে ৫ জুলাই ১৯৮১ সালে জন্মগ্রহণ করেছি,সহজ সরল ভাবে বড় শিমুল কলি যেন স্বর্ণালি বর্ণালি আর রূপালী, সবুজ ঘেরা ঐ গাঁয় খুব চিনা জানা,তার ছোট কুঁড়িটির উঠান পাশ,লম্বা মোটা শিমুল গাছ, নীল আকাশের পাণে চায়।জন্মের পর শোনেছি, দাদা মসায় না কি নাম দিয়েছে শিমুল তলা, জানতো ভাই দশ গ্রামের লোকজনা।কাঁটা ভরা দেহে,মগডালের পাতাগুলো তিনকণা,দেখতে বুঝি আর লাগতো ভাল ঐ শিমুল তলা।আহা কি?ঝরা পাতার ফাঁকে মাংস খেঁকো শগুনের ভির জমতো, ‘বাবা বলতো’উঠে দেখ,ঘুম থেকে চোখ ডোলতে ডোলতে দেখতাম শগুন ঘাপটি মেরে বসে আছে। বসন্ত ফাগ্লুনে গাছের ডাল জুড়ে ফুটতো লাল টুকু টুকে শিমুল ফুল।অপরূপ কি সুন্দর,শিশির ভেজা শিমুল তলা ফুলগুলো ভেজা ভেজা হয়ে যেত সিক্ত। হুঁচা ভরে ফুল কুড়াঁতাম দোকানি সাজে কেনাবেচা খেলতাম,সব আজ মনের মাঝে হয়েছে শক্ত,ভুল করেও কোন দিন শিমুল ফুল দেখে দেখে হয়নি মুগ্ধ। ফুল রাঙ্গার সাথে সাথে ফাগ্লুন দুপুর বেলাতে ঝাকে ঝাকে কোকিল,শ্যামা,শালিক গান গায়তো মনের সুখে,ফুল ফুটে তুলা হতো,উড়তো গাঁয় গাঁয়ে, শিমুলতলায় ভুল করে আসনি ফুল কুড়াঁতে।সবুজ ঘেরা পথপ্রান্তে দেখা নাই আর গাঁয়ের শিমুল ফুল, শিমুল গাছটি ভেঙ্গে গেছে অচমকা ঝড়ে। লেখার তারিখঃ ১৩/০১/১৩

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।