ঝিম ধরা একটা অনুভুতি হচ্ছে। হঠাৎ করে মনে হল দেশ কাল সমাজ সভ্যতা সব কিছু আমার ফিলিংসের বাইরে চলে গেছে। আমি জানি আমি সুশীল না। আমি জানি আমি শিবির না। তাইলে আমি কি।
আমি কি একদম সার্থপর? ইদানিং নিজেকে ছাড়া আর কিচ্ছু ভাবতে ভাল লাগে না। মনে হয় এই জগতে আমি ছাড়া আর কোন জীব নেই। আমার দেশ আমার কাছে খুব প্রিয় কিন্তু আমার এই প্রিয় জিনিসটি যারা খুবলে খাচ্ছে তাদের জন্য আমার কোন প্রতিবাদী কন্ঠস্বর নেই কেন? কেন আমি মনে করি পথের বিপদ ঘরে ডেকে আনাটা বোকামি। এই আমি তো আমিতে এত বেশি মগ্ন ছিলাম না। তবে কিভাবে কি হল? আজ আমি নিজে কর্মসূত্রে একটা বিচ্ছিন্ন লাইফ লিড করি ঠিক আছে কিন্তু আমার সেই কর্ম কিভাবে আমকে এত তাড়াতাড়ি বদলে ফেলল? একটা সময় ছিল যখন বিশ্বাস করতাম আমার ন্যায়-নীতি আমার ধ্যান ধারনা কখনো আমাকে ছেড়ে যাবেনা।
বিতর্ক হত আমার সাহিত্যের শিক্ষক শেখ মাফিজুল ইসলামের সাথে। তিনি হয়তো জানতেন যে কর্ম জীবনের স্রোত ছাত্র জীবনের অনেক আবেগ অনেক মতাদর্শ ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আমাকে উনি বলতেন এখন তোমার যা আছে তা হয়তো অনেক বেশী গঠনশীল। কিন্তু একা আসলে একটা বালির তৈরি প্রাসাদ। নিজে বাস্তব জগতে প্রবেশ করে যতটা ধরে রাখতে পারবে সেটাই হল আসল।
তখন আমি খুব লিখতাম। সাপ্তাহিক সাময়িকি গুলাতে আমার লেখা নিয়মিত ছাপা হত। স্যারের সাথে পাল্লা দিয়ে সাব-এডিটরিয়াল ও লিখতাম। স্যার আমাকে কোন বাহবা দিত না। তখন মনে হত স্যার আমাকে হিংসে করে।
কিন্তু এখন আসলটা বুঝি। তাই আজ স্যারের সামনে যেতে সংকচ হয়। সংকচ হয় পদ্ম দাদার ডেরা কারুকাজের পাশ দিয়ে যেতে। পদ্ম দাদা আমার আর এক গুরু। কবি পদ্মানাভ অধিকারী।
লেখালেখি কি করছি এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে আজ অনেক কঠিন। সে দিন হঠাৎ সাইফুদ্দিন সাইফুল ভাইয়ের সাথে দেখা হয়ে গেছিল মাইকপটির এক ব্যাগের দোকানে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও একটা পাঠাগারের দায়িত্ব নিয়ে বেশ আছেন। আমাকে বলতে হয়েছে জাহাজে লেখা লেখি করার সুযোগ অনেক। অনেক কিছু লিখছি আজকাল।
কিন্তু এই অর্ধেক বানানো কথাটা পদ্ম দাদার কাছে বলার মতো হিম্মৎ আমার নেই। তাই কারুকাজ এর পথ এড়িয়েই চলি আজকাল যশোর গেলে।
কিন্তু এভাবে তো তো আমি শেষ হয়ে যেতে পারি না। আমি আবার মাথা উচু করে আমার আমার স্যার শেখ মাফিজুল ইসলামের সামনে গিয়ে দাড়াতে চাই। চাই মাসের শেষ শুক্রবার আবার কারুকাজে বসে স্বরচিত কবিতা পাঠ করতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।