যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমের আমৃত্যু যাবজ্জীবন জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তবে আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার দল এ রায় মেনে নিয়েছে। দেশবাসীকেও এ রায় মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল রায় ঘোষণার পর রাজধানীর কারওয়ানবাজার টিসিবি ভবনে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন হানিফ। হানিফ বলেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় হয়নি। আবদুল আলীমের সর্বোচ্চ সাজা হবে এটাই জনগণের আশা ছিল। আদালত তার অসুস্থতা আমলে নিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ রায় আমরা মেনে নিয়েছি। আবদুল আলীমের যুদ্ধাপরাধের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আবদুল আলীম এতটাই ঘৃণিত ছিল যে, স্বাধীনতার পর জয়পুরহাটে তাকে মানুষ বাঙ্ েবন্দী করে রেখেছিল।
এবারও নিশ্চুপ বিএনপি : একাত্তরে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় নিয়ে এবারও নিশ্চুপ প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি দলটি। তবে গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, দলের সিনিয়র নেতারা আলোচনা করে এ নিয়ে দলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া দেবেন। তবে ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়ায় এ রায়কে 'প্রশ্নবিদ্ধ' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি, বিএনপি যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে। তবে তা হতে হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের। কিন্তু যেসব বিচারের রায় হচ্ছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ। জনমনে এ নিয়ে নানারকম প্রশ্ন রয়েছে। সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতাসীন দল নিজেদের ঘরে যুদ্ধাপরাধীদের রেখে অন্য দলের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে। এখন যে বিচার হচ্ছে, তা সঠিকভাবে হচ্ছে না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে নিরপেক্ষ বিচারের ব্যবস্থা নেবে। 'প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফোরাম' আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, অধ্যাপক ড. মোস্তাহিদুর রহমান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।