সিলেটে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীরা। নিরাপত্তার অভাবে তারা মাঠে নামছেন না। গত চার দিনে চারটি বোমা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একের পর এক প্রার্থীর বাসায় হামলার ঘটনায় সিলেটের সব প্রার্থীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই মনোনয়নপত্র জমা দিলেও এখন পর্যন্ত গণসংযোগে নামেননি কোনো প্রার্থীই।
গত চার দিনে সিলেটের চার এমপি প্রার্থীর বাসায় হামলা হয়। সর্বশেষ গত বুধবার রাতে সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপির বাসায় ককটেল হামলা চালানো হয়। এর আগে ২ ডিসেম্বর সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাসুক উদ্দিনের মিরবঙ্টুলাস্থ বাসায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। একইভাবে ১ ডিসেম্বর সিলেট-৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বীর আহমদের বাসায় ও সিলেট-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী বাবরুল হোসেন বাবুলের বাসায় পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ রকম একের পর এক ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যেও। হামলার পর প্রার্থীদের বাসায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে মহানগর পুলিশ। তবে তাতেও নিরাপদ বোধ করছেন না প্রার্থীরা। ফলে মাঠে নামা থেকে এখন পর্যন্ত নিজেদের বিরত রেখেছেন সব প্রার্থীই।
এদিকে, একের পর এক হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হামলাকারীকেই শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। যদিও হামলার শিকার প্রার্থীরা দাবি করেছেন, নির্বাচন বানচাল করতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাই হামলা চালিয়েছে তাদের বাসায়। এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মুহাম্মদ আইয়ুব জানান, যেসব প্রার্থীর বাসায় হামলা হয়েছে তাদের বাসায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া যেসব প্রার্থী নিরাপত্তা চাচ্ছেন তাদের বাসার সামনে সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেন, যারা গণতন্ত্রের পথ পরিহার করে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড চালিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় তারাই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। শফিক বলেন, আতঙ্কে নয়, নির্বাচনী আচরণ বিধির বাধ্যবাধকতার কারণে মনোনয়ন জমাদানের পর মাঠে বা গণসংযোগে নামছেন না তারা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।