জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, দেশ আজ দুই নেত্রীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের হাতে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয়। দুই নেত্রীর রাহুগ্রাস থেকে মানুষ মুক্তি চায়। মানুষ হানাহানি বিদ্বেষ চায় না। মানুষ শান্তি চায়। দেশের মানুষকে দুই নেত্রীর জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার করা জাতীয় পার্টির ইমানি দায়িত্ব। গতকাল দুপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ি বাজারে এক পথসভায় এ কথা বলেন এরশাদ। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, জোর করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলেই ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেছিলাম। এখন নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চাই। তার জীবনের শেষ নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত দিন মহিলাদের শাসন দেখেছেন। আরেকবার ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ দিন। রাষ্ট্র পরিচালনায় শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দেব। আগামী সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখেনি। ক্ষমতায় গিয়ে জাতীয় পার্টিকে মূল্যায়ন করেনি। আর নয়। জাতীয় পার্টি আর কোনো দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না। তার দেওয়া নির্বাচন পদ্ধতির রূপরেখা বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এরশাদ বলেন, যে রূপরেখা দিয়েছি সেটা বাস্তবায়ন হলে সব রাজনৈতিক দলই উপকৃত হবে। এই রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১২০টি আসন পাবে। না হলে আরও কম আসন পাবে।
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে প্রার্থী দেবে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, বৃহত্তর রংপুরের ২২টি আসনে এককভাবে প্রার্থী দেওয়া হবে। গত নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। এবার তা হবে না। এবার যোগ্যপ্রার্থী দিয়ে ২২টি আসনই ছিনিয়ে আনা হবে। এ জন্য সব ভেদাভেদ ভুলে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন এরশাদ। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক ও মিঠাপুকুর উপজেলা সভাপতি এসএম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে পথসভায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলু, মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর মহানগর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন কাদেরী, উপজেলা জাপা সম্পাদক মোস্তফা জামান পারভেজ বক্তব্য রাখেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।