পরিবেশ ও বন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু তহবিলের বিষয়ে গবেষণার নামে একটি বেসরকারি সংস্থা ভুল তথ্য উপস্থাপন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওই সংস্থাটি বলেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জলবায়ু তহবিলের বেশির ভাগ বরাদ্দ পেয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মাত্র ১০ শতাংশের মতো বরাদ্দ পেয়েছে। বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে। যে সংস্থা এমন মৌলিক তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করে তাদের পুরো গবেষণাই প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। গবেষণার নামে এমন তথ্য উপস্থাপন দেশের জন্য ক্ষতিকর।
গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিজেএফ) এবং ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) যৌথ উদ্যোগে পোল্যান্ডের ওয়ারশোতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা বিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। আইডিইবির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে ও বিসিজেএফ সভাপতি কাওসার রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের গবেষক ড. এম আসাদুজ্জামান। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ নেগোসিয়েশন টিমের প্রধান সমন্বয়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, দিদারুল আহসান, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুব আলী, ইক্যুইটিবিডির রেজাউল করিম চৌধুরী, মিজানুর রহমান বিজয়, মনসুরুল আলম, আহসানুল আজিজ প্রমুখ। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জলবায়ু তহবিলের টাকা বরাদ্দের ক্ষেত্রে এনজিও মনোনয়নে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়। এনজিও নির্বাচন সরকার বা মন্ত্রণালয় করে না। ১৫০টি এনজিওর মধ্যে ৬৩টি মনোনীত হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।