আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মমিনুলের সামনে শুধুই আশরাফুল আর মুশফিক

প্রথম কয়েকটা ওভার দেখে-শুনেই খেললেন। কিন্তু তাঁর যে তর সইছিল না, সেটা বুঝিয়ে দিলেন দিনের পঞ্চম ওভারে ব্রেসওয়েলকে পর পর দুটো চার মেরে। পরের ওভারেই বোল্ডকে চার মারতে গিয়ে বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। এই বুঝি এত কাছে এসেও ফিরে যেতে হয়। ভাগ্য ভালো, দ্বিতীয় স্লিপে কোনো ফিল্ডার ছিল না।


কিন্তু ভাগ্যও তো সাহসীদের পাশেই থাকে। প্রতিকূল স্রোতে দাঁড় বাইতে নামা অসম সাহসী মমিনুল বোল্টের পরের ওভারে তিন বলের মধ্যে দুটো চার মেরে পৌঁছে গেলেন সেই জাদুকরী অঙ্কে। সেঞ্চুরিটা এল চোখ ধাঁধানো শটে। কাভার পয়েন্ট দিয়ে হাঁটু গেড়ে করা স্কয়ার ড্রাইভে। মাত্র ৯৮ বলেই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেললেন মমিনুল!
সেঞ্চুরি পূর্ণ করেই মমিনুল অবশ্য নিজের দায়িত্ব শেষ মনে করেননি।

এরই মধ্যে পূর্ণ করে ফেলেছেন দেড় শতকও। এই প্রতিবেদন লেখার সময় তাঁর সংগ্রহ ১৬৪। চট্টগ্রামে এটাই কোনো বাংলাদেশির সর্বোচ্চ ইনিংস, আগেরটি ছিল ২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে করা মোহাম্মদ আশরাফুলের অপরাজিত ১৫৮। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিকও এখন মমিনুল। সামনে আছেন শুধুই মুশফিকুর রহিম এবং আশরাফুল।

গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে ১৯০ রানে আউট হয়ে যান আশরাফুল, কিন্তু ঠিকই ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরির মালিক এখন পর্যন্ত মুশফিকই। মমিনুল তাতে ভাগ বসাতে পারবেন?

মমিনুলকে ডাবল সেঞ্চুরির পথটা বাতলে দেওয়ার সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিটাই এখন তাঁর সঙ্গে উইকেটে। একই ওভারে দুই ছক্কা হাঁকানো মুশফিক ব্যাট করছেন ৩৯ রানে। আজ লাঞ্চের আগে মার্শাল আইয়ুব এবং লাঞ্চের পর সাকিব আল হাসানকে (১৯) হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ২৫৪। নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ২১৫ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

আগের দিনের সঙ্গী মার্শাল আইয়ুবকে নিয়ে ভালোমতোই অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম সেশনটা পার করার ইঙ্গিতও দিচ্ছিলেন মমিনুল। কিন্তু অভিষিক্ত মার্শাল, অনেক পরিণত মস্তিষ্কের পরিচয় দিয়ে আসা সেই মার্শালই স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে। মমিনুলের অভিষেক সেঞ্চুরির কয়েক ওভার পরেই অ্যান্ডারসন পেয়ে গেলেন ‘অভিষেক’ উইকেট! ভেঙে গেল ১২৬ রানের অসাধারণ জুটিটা।

আর পাঁচটি রান করতে পারলেই তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে জুটির রেকর্ড করতে পারতেন। ১৩০ রান নিয়ে যে রেকর্ডটা এখন জাভেদ ওমর-মোহাম্মদ আশরাফুল জুটির দখলে।

সাকিবও ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। নিউজিল্যান্ডের দুই সেঞ্চুরিয়ানের যুগলবন্দীর শিকার সাকিব। কেন উইলিয়ামসনের বলে গ্লাভসবন্দী হয়েছেন বিজে ওয়াটলিংয়ের হাতে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.