স্বাধীন বাংলার নিউক্লিয়াস বলে খ্যাত বীরদের মধ্যে মাত্র কয়েকজন বেঁচে আছেন, কয়েকজন আমাদের ছেড়ে ইতিমধ্যেই চলে গেছেন। যারা বেঁচে আছেন তারা হলেন শ্রদ্ধেয় তাত্বিক নেতা, স্বাধীনতার কারিগর সিরাজুল আলম খান, জননেতা, সাবেক ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদ, সাবেক ডাকসু ভিপি, প্রথম পতাকা উত্তোলক আসম আব্দুর রব, স্বাধীনতার যুদ্ধকালীন সময়ের আগে পরে ছাত্রলীগ সভাপতি, তুখোর অনলবর্ষী বক্তা নুরে আলম সিদ্দিকী, স্বাধীনতার প্রথম ইশতেহার পাঠক, ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক শাজাহান সিরাজ। যারা আমাদের ছেড়ে গেছেন তারা হলেন, কাজী আরিফ আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, শেখ ফজলুল হক মনি ও আব্দুল কুদ্দুস মাখন। এরাই ছিলেন স্বাধীনতার মুল কারিগর, এদের ডিজাইন পরিকল্পনায় স্বাধীনতা এগিয়েছে, কি কাগজে, কি মাঠে, কি যুদ্ধের ময়দানে! অথচ, দুঃখ, পরিতাপ ও বেদনার বিষয় হলো এরা কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন সরকারের আমলেই কোন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পান নাই। যারা আমাদের স্বাধীনতা, স্বাধীকার আন্দোলনকে আতুর ঘরেই গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছিল, বিজয়ের পর টয়লেটের 'চারি'র নীচে পালিয়ে ছিল নিজের কৃত পাপে আতংকিত হয়ে, তারাও এই স্বাধীন বাংলায় মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন, রক্তে ভেজা পতাকা গাড়ীতে, বাড়ীতে উড়িয়েছেন, আর দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা জাতিকে গালি দিয়েছেন, পরিহাস করেছেন, অথচ নিউক্লিয়াসের সদস্যরা, সেই উত্তাল দিনগুলোতে ছাত্রজনতাকে নেতৃত্ব দেয়া সংগ্রাম পরিষদের নেতারা কোন সম্মান বলতে গেলে পান নি।
আজও বিদেশীদের ডেকে এনে স্বাধীনতার সম্মাননা দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলা হয় অথচ নিজের গলিতে থাকা এসব বীরদের কোন সম্মান দেয়া হয় না। উনাদের নির্দেশে যারা মাঠে ঘাটে যুদ্ধ করেছেন, তারাও বীর উত্তম, বীর প্রতিক, বীর বিক্রম খেতাব পেয়েছেন, অথচ এইসব সত্যিকার বীরদের জন্য কোন পদক, খেতাব বরাদ্দ করা হয় নাই। ধিক, শত শত ধিক আমাদের সরকারগুলোকে। নিকৃষ্ট রাজনীতির জন্য। এবার দেশে গেলে ইনশাল্লাহ চেষ্টা করবো এইসব বীরদেরকে দল মতের বাইরে থেকে এক জায়গায় এনে একটা বিশাল গণসংবর্ধনা দেবার।
দেখা যাক করতে পারি কি না। নিয়ত একটা করেই ফেললাম। আনটিল দেন, স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস টিম, হাজার সালাম তোমাদেরকে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।