সবচেয়ে প্রাচীন যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে টিকে থাকা রেলগাড়ির বিবর্তনের ইতিহাস বেশ রোমাঞ্চকর। ধীরে ধীরে আধুনিকায়ন হয়েছে রেলগাড়ির। রেলগাড়ি অনেকের কাছে ট্রেন নামেই বেশি পরিচিত। ট্রেন শব্দটি এসেছে প্রাচীন ফরাসি শব্দ ট্রাহিনার থেকে। শুরুর দিকে ট্রেনগুলো ছিল ঘোড়াটানা গাড়িগুলো।
পরবর্তীতে রেল ইঞ্জিনের ব্যবহারের পাশাপাশি রেললাইন স্থাপন করার পর রেলগাড়ি বর্তমান রূপ পায়। এখন সমান্তরাল ধাতব পাতদ্বয়ের উপর দিয়ে যেমন রেলগাড়ি চলে তেমনি রয়েছে আধুনিক চৌম্বকীয় রেলগাড়ি। যেগুলো মূলত রেললাইনের উপরে শূন্যে চালিত হয়। এগুলো অতি উচ্চগতি সম্পন্ন। এগুলো এমনভাবে ছোটে যে, রেললাইন স্পর্শই করে না।
বুলেট ট্রেন নামে এগুলো বেশি পরিচিত। বিংশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত রেলইঞ্জিনগুলো ছিল বাষ্পচালিত। বর্তমানে অবশ্য ডিজেল বা বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের ব্যবহার বেশি। রেললাইনের কিছু দূর পর পর রেলগাড়ি থামার স্থানগুলোকে রেলস্টেশন বলা হয়। একাধিক রেলপথ যেখানে মিলিত হয়, সেসব রেলস্টেশনকে জংশন বলা হয়।
প্রথম দিককার রেলগাড়িগুলো দড়ি দিয়ে ঘোড়ার বা মাধ্যাকর্ষণের টানে চালিত হতো। তবে ঊনবিংশ শতকের প্রথম ভাগ থেকে প্রায় সব ধরনের রেলগাড়ি বাষ্পীয় ইঞ্জিনের সাহায্যে চালিত হতে শুরু করে। ১৯২০ সালের দশকের প্রথম ভাগ থেকে শুরু হয় ডিজেল ইঞ্জিন ও বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের ব্যবহার। বাষ্পীয় ইঞ্জিনের চেয়ে এ ধরনের ইঞ্জিন অনেক কম পরিবেশ দূষণ করে, এ ছাড়া এগুলো চালাতে লোকবলও কম লাগে। ১৯৭০ এর দশক নাগাদ প্রায় সব দেশেই বাষ্পীয় ইঞ্জিনের ব্যবহার উঠে যায়।
তবে সস্তা কয়লা ও জনশক্তির দেশ, যেমন চীনে এখনো বাষ্পীয় রেল ইঞ্জিনের ব্যবহার আছে। তবে সেগুলোও ধীরে ধীরে উঠে যাচ্ছে। স্থাপনা ব্যয়ের কারণে দূরপাল্লার পথে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের ব্যবহার কম। বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনগুলোতে রেললাইনের উপরে খুঁটিতে স্থাপিত তার, অথবা রেললাইনের পাশে বা মধ্যে স্থাপিত বিদ্যুৎবাহী রেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তবে থেমে নেই এই প্রযুক্তিগত উন্নয়ন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।