রাষ্ট্রের তিন স্তম্ভের অন্যতম সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, যাকে সবাই চেনেন এস কে সিনহা নামে, তার বাসভবনের সামনে শনিবার যে বোমা হামলা ঘটেছে তা নিন্দনীয়ই নয়, অমার্জনীয় অপরাধই নয়, রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এই হামলাকারীরা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ওপর আঘাত করেছে। এরা গণতন্ত্রের শত্রু, এরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিরোধী ধর্মান্ধ রাজনীতির প্রবক্তা। আইনের শাসনের বিরুদ্ধে এরা দাঁড়িয়েছে। এই ভয়ঙ্কর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ইতিহাসের কলঙ্কিত রাজনৈতিক শক্তি ময়দানে সহিংস রূপ নিয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে যারা জানেন ও চেনেন তারা এক বাক্যে বলছেন, একজন প্রবীণ ও প্রথিতযশা আইনজীবী এস কে সিনহাকে বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে সুপ্রিমকোর্টের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা হয়েছিল। একজন প্রজ্ঞাবান ন্যায় বিচারক হিসেবে তার ভাবমূর্তি সব মহলে সমাদৃত। প্রধান বিচারপতির পর জ্যেষ্ঠতার বিচারে ও যোগ্যতার উচ্চতায় আদালত পাড়ায় এখন এস কে সিনহার নাম উচ্চারিত হচ্ছে। এমনি সময়ে তার বাসভবনের সামনে বোমা হামলা গোটা বিচার ব্যবস্থাকে সন্ত্রাসের পথে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে আজ গোটা বাংলাদেশের মানুষের রুখে দাঁড়াবার সময়। শুধু তাই নয় একই দিন বিচারপতি জিনাত আরার বাসভবনের সামনে বোমা হামলা হয়েছে। তারও আগে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আরেক সাহসী ও বিজ্ঞ বিচারক এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর লন্ডনে রাতের অাঁধারে হামলা করা হয়েছে। একই অপশক্তির যোগসূত্র রয়েছে এই হামলা ও বোমা মারার পেছনে। এই শক্তি মাথা তুলেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের রাজনৈতিক মঞ্চে, মিছিলে, সমাবেশে। এই শক্তির নাম জামায়াত-শিবির। সুমহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সহযোগী এই শক্তি পরাজিত হয়েছিল। সেই দিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হয়ে মুক্তিকামী বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জামায়াত-শিবির একটি অভিশপ্ত রাজনৈতিক দল। স্বাধীনতা উত্তরকালে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ এই ধর্মান্ধ শক্তি ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবার পরিজনসহ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ইতিহাসের চাকা উল্টে দিয়ে খুনি মোশতাকের টুপির রাজনীতি ও সেনা শাসনের ধারাবাহিকতায় পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। স্বাধীনতা উত্তরকালে উগ্রপন্থি আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির সঙ্গে এরা একাত্দ হয়েছিল। রাজনৈতিক অধিকার অর্জনের মাধ্যমে আদর্শের রাজনীতির ব্যর্থতার সিঁড়ি পথে ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় নানা সময়ে নিজেদের বিদেশি টাকায় সুসংগঠিত করে। দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে অস্ত্র ও সন্ত্রাস নির্ভর রগকাটার রাজনীতির মাধ্যমে এক নতুন লোমহর্ষক চেহারা নিয়ে আবির্ভূত হলেও গণরায় নিতে বারবার ব্যর্থ হয়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে ঠাঁই নিয়ে এই শক্তি মুক্তিযুদ্ধের অপকর্মের জন্য ভুল স্বীকার বা জাতির কাছে ক্ষমা না চেয়েও বিএনপি জোট শাসনামলে দুই নেতার কপালে জোটে মন্ত্রিত্ব আর লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা ওড়ে তাদের গাড়িতে। সেই দুই মন্ত্রী জামায়াত আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ এখন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দণ্ডে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে। মুজাহিদের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় হয়েছে। নিজামীর বিচার চলছে। জামায়াতের আরও চার নেতা অধ্যাপক গোলাম আজম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডসহ মেয়াদ ভিত্তিক দণ্ডের রায় হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াত আজ সন্ত্রাসী সহিংস কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিচার বিভাগকে ভয় পাইয়ে দিতে চায়। আজ দেশ ও মানুষের শেষ ভরসার স্থল সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে ভয় পাইয়ে দিতে চায়। বিচার বিভাগের কার্যক্রমের স্বাভাবিক পথে চলার গতি রুখে দিতে চায়। আর এই অপশক্তি এই ক্ষেত্রে আশ্রয় নিয়েছে সংসদীয় রাজনীতির দুই চাকার এক চাকা বিরোধী দল বিএনপির ছায়াতলে।
মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সর্বশেষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে সমাবেশ করেছিলেন সেখানে জামায়াত-শিবিরের আগ্রাসী অবস্থান ও শোডাউন গোটা দেশবাসী অবলোকন করেছে। এমনকি সেদিনের গণতন্ত্রকামী বিএনপির নেতা-কর্মীরাও তাদের আস্ফালন সইতে পারেনি বলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সেদিনের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হলেও মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেছে। তারা শাহবাগ এলাকায় সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা বিলবোর্ডের ওপর আক্রোশ ঝেড়েছে। সমাবেশ স্থলে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিলসহ যুদ্ধপরাধীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান তুলেছে। এমনকি ডিজিটাল ব্যানার ফেস্টুন টানিয়েছে। বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ দমনের যে অঙ্গীকার করেছেন এই জামায়াত-শিবিরের আস্ফালন ও ঔদ্ধত্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সেই সমাবেশ শেষ হতে না হতেই গুপ্ত বোমা হামলার পথ তারা বেছে নিয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম অফিসেও এই হামলা চালিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর অতীতে হয়েছে এখন কর্মকর্তাদের অফিস ও বাড়ির সামনে ঘটছে। মন্ত্রী, সিইসি কারও বাসভবনই রেহাই পাচ্ছে না। গুপ্ত বোমা হামলার রাজনীতি আর শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন একসঙ্গে চলতে পারে না।
সেনা শাসন উত্তর গণতন্ত্রের জমানায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা বেগম খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপিকে জনগণ দুই দুই বার ব্যালট বিপ্লবে অভিসিক্ত করেছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও রগ কাটা আর বোমা সন্ত্রাসের রাজনীতি একসঙ্গে চলতে পারে না। সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের বাসভবন ও গণমাধ্যম অফিসে বোমা হামলাকারীরা সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষের শক্তি নয়। এই শক্তিকে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে নিয়ে পথ চলবেন কিনা এই প্রশ্ন আজ দেখা দিয়েছে। গণতন্ত্রের মহান নেতা বেগম খালেদা জিয়ার গলা থেকে একাত্তর থেকে আজকের রাজনীতির অভিশপ্ত কলঙ্কের ঢোল জামায়াত-শিবিরকে নামিয়ে ফেলার সময় এসেছে। গণতন্ত্রের ২২ বছরে এই দেশের জনগণ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপিকেই বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছে। স্বাধীনতা উত্তরকাল থেকে উগ্রপন্থি হঠকারী সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতির পথ যারাই গ্রহণ করেছিলেন তারা রাজনৈতিকভাবে কেউ দেউলিয়া হয়েছেন কেউবা নির্বাসিত হয়েছেন। জন সমর্থন আদায়ে সফল হননি। এই দেশের জনগণ বারবার গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকেই বরণ করেছে। আজকের জামায়াত-শিবির ও হেফাজত বিএনপির ক্ষমতার রাজনীতির জন্য, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। '৯১ সালে ভঙ্গুর দুর্বল বিএনপিকে নিয়ে যদি অবাধ নির্বাচনে খালেদা জিয়া গণরায় নিতে পারেন তাহলে এই অপশক্তিকে বাদ দিয়ে আগামীতে গণরায় নিতে পারবেন না কেন? অর্থ ও অস্ত্র নির্ভর ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক রাজনীতির শক্তি জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসের আগুন সারা দেশে জ্বালিয়ে দিতে পারলেও জনগণের হৃদয় জয় করতে পারেনি। ভয় আতঙ্ক ছড়িয়ে দেশবাসীর মনে ক্ষোভ ও দ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছে।
বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে জাতীয় আন্তর্জাতিক হিসাব-নিকাশের খাতা খুলে গণতন্ত্রের পথে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণরায় নিয়ে ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে জনগণের ওপর আস্থাশীল হলে এই শক্তিকে বাদ দিয়েই হাঁটতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শনিবারের মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ না নিলে রবিবার থেকে টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার চারদিকে অনেকেই চাননি তিনি খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করুন। কিন্তু দেশ ও মানুষের তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের স্পন্দন অনুভব করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের মনোভাব উপলব্ধি করেছিলেন। অন্তরাত্দার ডাক শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুর থেকে বিরতিহীন চেষ্টা করে শনিবার সন্ধ্যায় বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে টানা ৪০ মিনিট রাষ্ট্র নায়কোচিত মেজাজে কথা বলেছেন। বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াও তার সঙ্গে দাবি দাওয়াসহ অনেক কথা বলেছেন। দেশবাসী উৎফুল্ল হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সোমবারের নৈশভোজের দাওয়াত ও হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ তাৎক্ষণিক বিরোধী দলের নেতা গ্রহণ করেননি। শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। হরতাল অব্যাহত রেখেছেন। দেশবাসীর সামনে দেওয়া আলটিমেটামের অঙ্গীকার রাখতে পারেননি। আর এই সুযোগে মতলব বাজরা, সুযোগ সন্ধানী যারা সমঝোতা চায় না, যারা চায় না গণতন্ত্রের শক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি হাত ধরাধরি করে সংসদীয় সিঁড়ি পথে দেশকে উন্নয়ন ও প্রগতির ধারায় নিয়ে যাক তারা তৎপর হয়ে ওঠে। শুরু হয় গুপ্ত বোমা হামলা। গতকাল হরতালের প্রথমদিনে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যই স্থবির হয়নি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। বগুড়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে খালেদা জিয়ার আদর্শের এক সন্তানের প্রাণ হানি ঘটেছে। কোথাও আওয়ামী লীগ কোথাও বা বিএনপি জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছে। আমরা বলব মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলের নেতা গ্রহণ করলে এই প্রাণহানি, রক্তপাত, সহিংসতা এড়ানো যেত। চলন্ত ট্রেনে আগুনে সাধারণ মানুষকে আহত করা হয়েছে। জাতীয় সম্পদ ধ্বংস হয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটত না যদি গণভবনের নৈশভোজের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে হরতাল প্রত্যাহার করতেন বিরোধী দলের নেতা। বর্ষীয়ান আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতের সঙ্গে সঙ্গে গ্রহণ করে গণভবনে না গিয়ে খালেদা জিয়া অন্যায় করেছেন'। আমরা অন্যায় বলব না। বলব বিরোধী দলের নেতা ভুল করেছেন। আর সেই ভুলের মাশুল তাকে রাজনীতিতে গুনতে হচ্ছে। লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে দেশ ও মানুষের। রাজনীতি যদি হয় দেশ ও মানুষের কল্যাণে, একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা তাহলে দেশবাসীর হৃদয়ের অনুভূতি ও চাওয়া-পাওয়াকে উপলব্ধি করে বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়ার আর সময় নষ্ট না করে, ষড়যন্ত্রকারীদের জাল ছিন্ন করে প্রধানমন্ত্রীর গণভবনের খোলা দরজায় প্রবেশ করে খোলা মনে সব দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসা। সহিংস সংঘাত সংলাপের বিকল্প হতে পারে না। সহিংসতা সংঘাতের পরিণতি কী হয় নিকট অতীত ও বিএনপি নেতৃত্বে খুব বেশি জানা আছে। গণতন্ত্রের নেত্রীর কাছে জামায়াত-শিবির বা উগ্রপন্থিদের প্রত্যাশার চেয়ে দলের লাখো লাখো নেতা-কর্মী ও গণমানুষের প্রত্যাশাই বড়। সেই প্রত্যাশা পূরণে প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে যোগ দিন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।