মসজিদ আল্লাহর ঘর। মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করা ঘরে নামাজ আদায়ের চেয়ে অনেক বেশি সওয়াবের। যে কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামাতে নামাজ আদায়কে উৎসাহিত করেছেন। যারা সময় ও সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জামাতে নামাজ আদায় করে না আল্লাহর রাসূল তাদের ভর্ৎসনা করেছেন।
মসজিদ যেহেতু আল্লাহর ঘর, সেহেতু এ ঘরের মর্যাদা বজায় রাখা প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য হিসেবে বর্তায়। মসজিদের আদব রক্ষায় মসজিদে অকারণে ঘোরাফেরা করা, খোশগল্প করা কিংবা ঘুমানো অনুচিত। মসজিদে অশ্লীল আচরণ করা, গালিমন্দ করা কিংবা ক্ষমতার দর্প দেখানো গর্হিত কাজ বলে বিবেচিত। অনেকে মসজিদে ইমামের খুতবা দানের সময় গল্পগুজব করেন। দুনিয়াদারির আলাপ-আলোচনায় ব্যস্ত থাকেন। এটি অত্যন্ত গর্হিত কাজ। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মসজিদে তিন প্রকার লোক হাজির হয়ে থাকে। এক ধরনের লোক মসজিদে উপস্থিত হয়ে এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করে ও অনর্থক কথা বলে। আর এক ধরনের লোক মসজিদে হাজির হয়ে খুতবার সময় দোয়া ইত্যাদিতে মশগুল থাকে। এদের দোয়া আল্লাহ কবুল করতে পারেন এবং নাও করতে পারেন। আর এক ধরনের লোক মসজিদে এসে খুতবা পাঠের সময় নিশ্চুপ থাকে এবং অন্যের ঘাড়ের ওপর দিয়ে চলাফেরা করে না ও অন্যকে কষ্ট দেয় না। এ ধরনের ব্যক্তির জন্য বিগত জুমা থেকে এ পর্যন্ত এবং সামনের তিন দিনের জন্য এ নীরবতা কাফফারাস্বরূপ হবে। তা এ জন্য যে, আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, 'যে ব্যক্তি একটি ভালো কাজ করবে সে তার বিনিময়ে এর দশগুণ সাওয়াব পাবে'। (আবু দাউদ)
মসজিদে গিয়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন হওয়া ঠিক নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে এ বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। হজরত ইবনে উমর (রা.) বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, মসজিদে যদি কোনো ব্যক্তি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয় তবে সে যেন নিজের স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র সরে বসে। (আবু দাউদ)
মসজিদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ব্যাপারেও মুসলি্লদের যত্নবান হতে হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মসজিদের প্রতি ইজ্জত দেখানোর তাওফিক দান করুন।
লেখক : ইসলামী গবেষক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।