জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেতা আটক নন, গৃহবন্দীও নন। শুধু নিরাপত্তার স্বার্থেই তার বাসভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিরোধীদলীয় এমপিরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে বেগম জিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে গতকাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। চিফ হুইপ আবদুস শহীদ আরও বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বেগম জিয়ার নিরাপত্তার স্বার্থেই তার গুলশানের বাসভবনের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে কোট করে আবদুস শহীদ বলেন, তিনি বলেছেন, 'খালেদা জিয়া আটক, অন্তরীণ বা গৃহবন্দী নন। তার স্পষ্ট কথার পরও বিএনপি সত্যের অপলাপ করছে'। বিরোধীদলীয় নেতার বাসার সামনে বালুভর্তি ট্রাক সরকার রাখেনি বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে বের হতে দেওয়া হয়নি তাকে। তার সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে পুলিশ। এর পর থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। বিএনপির সংসদীয় প্রতিনিধি দল বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছে। শুক্রবার বিকালে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে বিএনপির সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, তাদের নেত্রীকে 'অবরুদ্ধ' করে রাখা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেও একই অভিযোগ করেন তারা। এ প্রসঙ্গে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আবদুস শহীদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আটক, অবরুদ্ধ বা গৃহবন্দী নন। এটা জানার পরও তারা একই বিষয়ে অহেতুক রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারের দ্বারস্থ হয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই তারা অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার করছেন। তাদের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা বলেছিলেন সরকার অবৈধ, সংসদ অবৈধ। আবার তারাই স্পিকারের কাছে অভিযোগ করছেন। এটা তাদের স্ববিরোধী অবস্থান। রাজনৈতিক দৈন্যকে লুকানোর জন্য তারা (বিএনপি) শাক দিয়ে মাছ ঢাকার নীতি অবলম্বন করছেন। ২৯ ডিসেম্বর গুলশানের বাড়ির সামনে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনি আমাদের সবার শ্রদ্ধেয়। কিন্তু তার মুখ থেকে যে বক্তব্য শুনতে হয়েছে তা অশালীন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।