বিভিন্ন কাজে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদেরকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশ, সংস্থার দূতাবাস, হাইকমিশন, মিশনগুলো। সতর্কতায় হরতালের তিন দিন বাসস্থানের বাইরে অবস্থান করতে বিরত থাকা ও মিশন-গণমাধ্যমের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের। গতকাল এক বিবৃতির মাধ্যমে কমনওয়েলথ, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডার ঢাকা অফিস থেকে বিবৃতির মাধ্যমে এবং অন্যান্য দূতাবাস ও হাইকমিশন তাদের নিজ নিজ ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সতর্কতার খবর নাগরিকদের জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সংঘটিত সহিংসতায় শতাধিক মানুষ মারা গেছে। এ ধরনের সহিংসতার ঘটনায় শহর এবং শহরের বাইরে ভ্রমণ ব্যাহত হতে পারে। বাংলাদেশে নিয়মিত হরতাল পালিত হচ্ছে। যেকোনো সময় এসব কর্মসূচি সহিংস হয়ে ওঠে। বাসে আগুন দেওয়া, সম্পদ ধ্বংস, রাস্তাঘাট অবরোধ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটে এসব হরতালে। ২৫ অক্টোবরের পর হরতালে ২০ জনের মৃত্যুর খবর নাগরিকদের জানিয়েছে দেশটি। মার্কিন দূতাবাস বলেছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশও অনেক সময় সহিংস হয়ে উঠতে পারে। হরতালে ইটপাটকেল ছোড়া হয়, এমনকি স্বল্প ক্ষমতার বিস্ফোরকও ছোড়া হয়। জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে এবং প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো সমাবেশ থেকে দেশটির নাগরিকদের দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দফতর তার নাগরিকদের সমাবেশস্থল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। কানাডা তাদের নাগরিকদের অধিকতর সতর্ক থাকার (হাই ডিগ্রি অব কশন) পরামর্শ দিয়েছে। দেশটি বলেছে, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, দেশজুড়ে হরতাল ও সহিংস সংঘর্ষ চলছে এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। একই বার্তা দিয়েছে অস্ট্রেলীয় দূতাবাস। হরতালে ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহনে আক্রমণ করা হয় বলেও জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যুক্তরাজ্যস্থ কমনওয়েলথ দফতর নাগরিকদের জন্য বিবৃতি জারি করে। ওই বিবৃতিতে হরতালের আগের দিন সন্ধ্যায় জনবহুল এলাকাতেও সহিংস ঘটনা ঘটে থাকে বলে জানানো হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।