আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঠাঁই পেয়েছেন ব্যক্তিগত স্টাফ ও হত্যা মামল

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতুন ৮৩ জন সহসম্পাদক পদে স্থান পেয়েছেন অফিসের পিয়ন, শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত সহকারী, দীর্ঘদিন দলে নিষ্ক্রিয়, হত্যামামলার আসামি এবং ছাত্রদল কর্মীরাও। অনেককেই গত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডে দেখা যায়নি। পূর্বে দলের সহযোগী কোনো সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন না। বঞ্চিত হয়েছেন ছাত্রলীগের ত্যাগী সাবেক নেতারা। আর পৃষ্ট হয়েছেন তোষামোদকারীরা। দলের সঙ্গে কখনো সম্পৃক্ত না থেকেও একজন অভিনেত্রীর স্বামীও এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। একাধিক পদেও আসীন হয়েছেন কেউ কেউ। তারকা, খেলোয়াড় ও সাবেক কয়েকজন ছাত্র নেতার নাম কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় অনেকে প্রশংসা করেছেন। তবে নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলা হলেও ৮৩ জনের মধ্যে একজন নারীও স্থান পাননি।

আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহসম্পাদকদের নাম ঘোষণা করা না হলেও ইতোমধ্যেই এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। গতকাল গণমাধ্যমে প্রকাশিত ৮৩ জনের নাম দেখে নেতা-কর্মীরা নানা মন্তব্য করছেন। তারা বলছেন, অনেকের বিরুদ্ধে দলের কোনো সহযোগী সংগঠনে পদে থাকার পরও সহসম্পাদক হওয়া, কারও বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আবার কমপক্ষে দুজন দলের সহকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে ৬৪ জনসহ সম্পাদকদের নাম ঘোষণা করা হয়।

নতুন উপ-কমিটিতে সহসম্পাদক পদে নাম থাকা আফজালুর রহমান বাবু স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি। স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক গাজী মেজবাহুল হোসেন সাচ্চু এবং সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার নামও রয়েছে। তালিকায় নাম থাকা খোকন পাল ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান বাদল হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। সহসম্পাদকের পদ পাওয়া সাইফুল ইসলাম টিএসসিতে ছাত্রলীগের কর্মী হাদীকে গুলি করেছিলেন। সাইফুলের বিরুদ্ধে জামায়াত সংশ্লিষ্টতা নিয়ে একাধিক সংবাদপত্রে খবর ছাপা হয়। পদ পাওয়া ফয়সাল বিপ্লব মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে এবং জেলা যুবলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে টঙ্গিবাড়ী থানার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে না পাওয়ায় ওই ব্যক্তিকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ রয়েছে। সে সময় তার বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বলেছিলেন, বিপ্লব দলে সক্রিয় নন, নেশা করে অনেকটা বিপথে গেছেন। ইঞ্জিনিয়ার খোকন পাল ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা। আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম বাপ্পি। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল আলম লেলিনের অনুসারীদের মধ্যে রয়েছেন মাসুদ পারভেজ ও মাসুদ পথিক। আবুল কালাম আজাদ ইলিয়াছ ছাত্রলীগ বা দলের অন্য কোনো সংগঠনে কখনো কোনো পদে ছিলেন না। আবুল কালাম আজাদ দলের উপ-দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের ঘনিষ্ঠজন ছাড়া কোনো পরিচয় নেই। ব্যারিস্টার জাকির হোসেন অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন। অল্প সময়ে বিত্তবান হয়েছেন। দলের স্বীকৃত কোনো সংগঠনে কখনো না থাকলেও সামনে নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছেন। নিষ্ক্রিয়দের মধ্যে রয়েছেন, সীমান্ত তালুকদার ১২ বছর সংগঠনে নিষ্ক্রিয়, জাকির হোসেন মারুফ, আনোয়ারুল আজিম সাদেক, ফয়সাল বিল্পব, হাবিব আহমেদ মুরাদ, মোহাম্মদ আলম ওরফে দিগন্ত আলম, মাসুম ইকবাল, ডা. মোস্তফা জালাল বাবলু। বিভিন্ন নেতাদের অফিস স্টাফদের মধ্যে রয়েছেন আলাউদ্দিন, শামীম, বিল্পব, মাসুদ। আসিফ মোহাম্মদ জলিল, নিরঞ্জন ভৌমিককে কেউ চেনেন না বলেও জানা গেছে। তবে, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়, তারেক শামস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক সময়ের জনপ্রিয় সভাপতি ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন, আবু আব্বাস ভূঁইয়া, গাফফারী রাশেলের মতো মুখগুলো তালিকায় থাকায় প্রশংসাও পাচ্ছে সম্ভাব্য এ ঘোষিত হতে যাওয়া এ কমিটি। নতুন সহ-সম্পাদকদের বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত নাম দেখে কোনো মন্তব্য করা যাবে না। দল যদি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন ও প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সহসম্পাদকদের নাম ঘোষণা করে তবেই খোঁজখবর নিয়ে সংবাদপত্রে মন্তব্য করব।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে ৩৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.