আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘যুক্তরাষ্ট্র অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়’

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সম্পর্কিত পররাষ্ট্র বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান স্টিভ শ্যাবট বলেন, তার দেশ চায় বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক।
সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠকে সন্ত্রাসের বিপক্ষে তার দেশের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সদস্য শ্যাবট।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান ‘সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো দৃঢ় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের  প্রায় পাঁচ হাজার ৮০০ নির্বাচনের কথা  তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব নির্বাচনে সরকার সমর্থিত প্রার্থীরাও পরাজিত হয়েছে।

কেউ এসব নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ তুলতে পারেনি।
বর্তমান সরকারের আমলে নির্বাচনগুলোতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘দুইশ’র বেশি’ মানুষ নিহত হয়েছিল।
বর্তমান সরকারের সময়ে প্রতিটি নির্বাচনই ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ’ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে ফোন করে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি  তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বিরোধীদলীয় নেতাকে হরতাল প্রত্যাহার করে আলোচনার আহবান জানান। কিন্তু বিরোধীদলের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া আসেনি।


বর্তমানে নির্বাচন কমিশন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “গণতন্ত্র ছাড়া কোনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ”
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অব্যাহত রাখার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  এই অঞ্চলে শান্তি নিশ্চিত করাই তার সরকারের লক্ষ্য।
চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রা শুরুর আগে গ্রেনেড হামলা, ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার নিহত হওয়া এবং যুক্তরাজ্যের রাষ্টদূতের ওপর গ্রেনেড হামলার কথাও বৈঠকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময়ে সরকার সন্ত্রাস দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

তার সরকার ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এজন্য দারিদ্র্য দূরীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন- এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে কারো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
অন্যদের মধ্যে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব শেখ মো. ওয়াহিদ উজ জামান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


স্টিভ শ্যাবটের সঙ্গে ছিলেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জন ড্যানিলোইৎজ।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.