আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিয়াস করীমের উপর আঘাত, খালেদা গৃহবন্দী, বিএনপি নেতারা কারাগারে, জামায়াত আন্ডারগ্রাইন্ডে! সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কি?

স্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম

যখন লেখাটি লিখতে বসলাম তার কিছুক্ষন আগে টিভির স্ক্রলে ভেসে উঠতে দেখলাম, হরতাল প্রত্যাহার করলে বিএনপি নেতাদের মুক্তি দেয়া হবে- বণমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। বণমন্ত্রীর কথা শুনে মনে হলো হরতালের ডাকটাই মনে হয় নেকড়ের গলায় কাটার মত বিধে গেছে। এই ঘোষনার আগে বিএনপির ৫ নেতাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে ৫ নেতাকে গ্রেফতারের পূর্বের দিন সরকারী দলের লোকদের সাথে হাসিমুখে চা পানি খেয়েছেন তারা, তার ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়েছে। অনেকে অনেক রকম ভাবছেন ! কেউ বলছেন সরকার আর গ্রেফতারকৃত নেতাদের মধ্যে কোন সমঝোতা বা জনগনকে উষ্কে দেয়া, পরিস্থিতি যাতে আরো খারাপ হয়।

নতুবা বাকশাল শীর্ষক পড়াশুনার প্রাকটিক্যাল ক্লাস চলছে। অবস্থাকে আরো খারাপ রুপ দেয়ার জন্য প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ইনু ও মওদুদ সাহেবের সাথে হাসিমুখ কথা বার্তার পরের দিন ইনুর মুখে শোনা যায় খালেদাকে গ্রেফতার করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে। এজন্য তার বাড়ি অবরোধ। ১০ তারিখ রাতেই ঘোষনা দেয়া হয় খালেদার সাথে যেই দেখা করবে তাকেই গ্রেফতার করা হবে। এই যখন পরিস্থিতি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক রাতেই দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি চেয়ারপারসন এর সাথে।

কিন্তু কোন গ্রেফতার হবার খবর আর টিভির স্ক্রলে ভেসে উঠে নি। বিরোধী দল বলতে ১৮ দল তার মধ্যে জামায়াত ও বিএনপি এখন ফেক্টর। জামায়াতের প্রায় সকল নেতা এই সরকারের শুরুর মেয়াদ থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড। বিএনপির নেতারা নিষ্ক্রিয় যখন সময় এসেছে সক্রিয় হবার তখনই গ্রেফতার আতঙ্ক। মানসিকভাবে ভীতি ভয় তৈরি করা।

২৫ অক্টোবরের পর থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার বৈধ ও অবৈধ অনেক ডিবেট হয়েছে। কোন সমাধান হয় নি। হরতাল গেলো বেশ কয়েকটা মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেলেও তারা উচ্চ বাচ্য করছেন না। সরকার দল আর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দিকে সাংবাদিকদের নজর। কে যেন এই সময়টাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।

বলা বলি হচ্ছে আমেরিকা ও ভারত প্রতিদ্বন্দীতার করছেন যেন চর দখল। বাংলাদেশ একটি জারোজ সন্তান কে দত্তক নিবেন তার জন্য তারা মনস্তাত্বিক লড়াই করছেন। টিভিতে খোমা দেখিয়ে মুক্ত বাক স্বাধীনতার চর্চা যারা করে যেমন বুদ্ধিজীবি চিন্তাশীল সচেতন নাগরিক এবং যারা কলাম লিখে সরকারের সমালোচনা করছেন তাদের উপর আঘাত আসছে। বিশিষ্ট টক শো স্পেশালিস্ট পিয়াস করীমের মত একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে হত্যার জন্য গুলি করা এবং সেই গুলিতে বাড়ির সদস্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর সত্যি দু:খজনক, শুধু তাই নয় বরং লজ্জাজনক।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.