আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যান্ড বাজিয়ে...

ব্যান্ড বাজিয়ে পদত্যাগের ঘটনার মতো বিরল পদত্যাগ খুব কমই শোনা গেছে।

আমেরিকার একটি প্রাচীনতম রাজ্য রোড আইল্যান্ড। এই দ্বীপ রাজ্যের অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য হোটেলের একটি ম্যারিয়ট রেনেসাঁ। (Hotel Marriott Renaissance) হোটেলের রুম সার্ভিস শাখায় কাজ করতেন জোয়ে ডি ফ্রান্সিসকো, প্রায় সাড়ে তিন বছর চাকরি করলেও তার পথ চলা কখনই সুখের ছিল না। তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তথা বসের সঙ্গে নানা বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে ঝগড়াঝাটি আর বকা ঝকা ছিল তার নিত্যদিনের সঙ্গী।

এর মধ্যে সব কর্মচারীকে নিয়ে একটা ইউনিয়ন করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। একদিকে দিনে ১৩ ঘণ্টা শ্রম আর অন্যদিকে বসদের সঙ্গে বাক্বিতণ্ডার কারণে জোয়ে চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু চাকরি ছেড়ে যাওয়ার সময় বসদের এক হাত নেওয়ার চিন্তা জেঁকে বসল তার মাথায়। অনেক ভেবে-চিন্তে বের করলেন এক অদ্ভুত পদ্ধতিতে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কৌশল, যা তার ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশের পাশাপাশি বসের জন্যও হবে তিক্ত অভিজ্ঞতা। যেই ভাবা সেই কাজ।

নির্দিষ্ট দিনে জোয়ে এবং তার বন্ধুরা মিলে রাস্তায় র্যালি করার জন্য ব্যবহৃত একটি ব্যান্ড দল ও আরও কিছু বাদ্যযন্ত্র যোগাড় করলেন। এরপর নির্দিষ্ট দিনে সবাইকে নিয়ে হোটেলে ঢুটেই আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে শুরু করলেন বাদ্য বাজান। বাদ্যের তালে তালে বাজতে লাগল একটি সার্বিয়ান গানের সুর আমি যাচ্ছি ও ছঁরঃ. এরপর দলবল দিয়ে বাদ্যের তালে তালেই ঢুকে পড়লেন বসের অফিসে। আর নাচতে নাচতেই হতবিহবল বসের দিকে এগিয়ে দিলেন তার পদত্যাগপত্র। হোটেল থেকে বিদায় নিলেন জোয়ে।

সবার ধারণা ছিল, এটাই বোধ হয় জোয়ের শেষ চাকরি। কারণ এই হোটেলে চাকরির অভিজ্ঞতার সনদের জোরে তিনি কখনো চাকরি পাবেন না আর রেফারেন্স হিসেবে বসের নাম নিজের বায়োডাটায় লেখার তো প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো- জোয়ে আবারও চাকরি পেয়েছেন। তবে কোথায়, তা গোপন রাখা হয়েছে।

 

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.