সেই চিরবিদ্রো.... যে লড়াই , কখনো শেষ হয়না....
অর্থপাচার মামলার তদন্তে ক্রটির কারণেই খালাস পেয়েছেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার আদালতের দেওয়া রায় পর্যালোচনায় এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
আদালত তার রায়ে উল্লেখ করেছেন, মামলাটি করা হয়েছে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর। কিন্তু অভিযোগ গঠনকালে ঘটনার তারিখ দেখানো হয়েছে ২০০৩ সালের ১ আগস্ট। মামলা দায়েরে ৬ বছর ২ মাস ২৫ দিন বিলম্বের কারণ এজাহারে উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে মামলার এজাহারে তারিখ বলা হয়েছে ২০০৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের মে মাস পর্যন্ত। কিন্তু সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকের একাউন্টে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা কোন সালে, কোন মাসে, কত তারিখে কোন সময় জমা হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট বর্ণনা এজাহারে বা অভিযোগে কিংবা তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি।
এছাড়া তারেক রহমান তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের একাউন্ট হতে কবে, কোন তারিখে, কোন সময় কত টাকা বা ডলার ভিসা কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করে গোপন করেন তা এজাহার, অভিযোগ বা চার্জশিটে উল্লেখ নেই।
বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেন, মামলার ঘটনাস্থল সুনির্দিষ্ট নয়। এজাহারে ঘটনাস্থল সোনালী ব্যাংক, ক্যান্টনমেন্ট শাখা বলা হলেও মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে সিটি ব্যাংক ২৩ চার্চ স্ট্রিট, ক্যাপিট্যাল স্কয়ার, সিঙ্গাপুর।
তদন্ত কর্মকর্তা মামলার প্রধান ঘটনাস্থল সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংক পরিদর্শন করেননি, খসড়া মানচিত্র, সূচিপত্র তৈরি করেননি, কোনো জব্দ তালিকাও আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি।
আদালত তার রায়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, যে ভিসা কার্ডের মাধ্যমে তারেক রহমান ৫৪ হাজার ৯৮২ ডলার উত্তোলন করে খরচ করেন, তা গোপন ও আড়াল করে মানিলন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ তারেক রহমানের উক্ত অপরাধ প্রমাণ করার জন্য তার ভিসা কার্ড জব্দ করেনি কিংবা জব্দ করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
মামলার প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী নির্মাণ কন্সট্রাকশনের এমডি খাদিজা ইসলামের কাছে কোনো অর্থ দাবি করেননি, কন্সালটেন্সি ফি দাবি করেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের কাছে।
আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, মামুনের একাউন্টে প্রায় ২০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে জমা থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সেই টাকা থেকে ৫০ হাজার ডলার তারা দুজনে মিলে খরচ করেছেন। আসামি তারেক রহমান যদি মামুনের অর্থের মালিক হতেন তাহলে অধিকাংশ টাকা তারেক রহমানের খরচ করার কথা।
তাছাড়া তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ভিসাকার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে খরচ ও গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু সাক্ষ্য প্রমাণে তারও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। কেননা আসামি তারেক রহমানের কাছ থেকে দুদক সম্পদ বিবরণী তলব করলে, তিনি ২০০৭ সালের ৭ জুন তারিখে যে বিবরণী দুদকে দাখিল করেন তাতে সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকের একটি ভিসাকার্ড থাকার কথা উল্লেখ আছে।
আসামি মামুন আসামি তারেক রহমানকে একটি কার্ড ইস্যু করার ঘটনায় প্রমাণ হয় যে, তারেক বিদেশ ভ্রমণের সময় চিকিৎসা ও কেনাকাটার প্রয়োজনে মামুনের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছিল। সে অর্থ তারেক রহমানের ধারও হতে পারে আবার পাওনাও হতে পারে।
মামুনের সেই টাকা যে অবৈধভাবে অর্জন করা তা তারেকের জ্ঞাত হওয়ার বিষয়টি ধারণার বশবর্তী হয়ে আনা হয়েছে। কেননা এ বক্তব্যের স্বপক্ষে বস্তুনিষ্ঠ কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তাই তারেক রহমান কর্তৃক ভিসা কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ মানিলন্ডারিংয়ের সংজ্ঞাভুক্ত নয়।
এ কারণে বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেন, আসামি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে সত্য ও বিশ্বাসযোগ্য বলে প্রমাণ করতে সক্ষম না হওয়ায় তাকে নির্দোষ সাব্যস্তে খালাস প্রদান করা হলো।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।