আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এশীয় তরুণদের সঙ্গে বাংলাদেশের মৈত্রী বন্ধন

জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ-১৯-এর মূলধারার আলোচনার পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদলের নানা অনুষ্ঠান। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের এ রকম একটি অনুষ্ঠান হয়ে গেল।

চীন, জাপান, তাইওয়ান, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের তরুণদের সংগঠন গ্রিনক্লাব ইয়ুথ গ্রুপের সঙ্গে মিলিত উদ্যোগে এ আলোচনার আয়োজন হয়। বাংলাদেশ অংশের আলোচনায় সঞ্চালক ছিলেন আইনুন নিশাত। এলডিসি গ্রুপের চেয়ার প্রকাশ মাথেমা বৈরী প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যে দাতাদের তহবিলের পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু তহবিল গঠন ও পরিচালনা করছে। মাঝারি আকারের সম্মেলনকক্ষটি বিভিন্ন দেশের উৎসাহী শ্রোতাদের উপস্থিতিতে জমজমাট ছিল। এশীয় গ্রিনক্লাব ইয়ুথ গ্রুপ কার্বন পরিশোধনে তাদের কার্যক্রম তুলে ধরে।

গতকাল সকালে গ্রুপ ৭৭+চীনের বৈঠকে নেতারা কপ-১৯ সম্মেলনের চূড়ান্ত পর্বে উত্থাপনের জন্য তাঁদের মূল দলিলের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে মূলত আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও এডিপি (অ্যাডহক ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ডারবান প্ল্যান ফর ২০১৫ এগ্রিমেন্ট) নিয়ে আলোচনা হয়।

ফিলিপাইনের প্রতিনিধি বলেন, উন্নত বিশ্ব অর্থায়ন কমানোর কথা বলছে। এটা হতেই পারে না। বরং বছরে ১০০ কোটি ডলার অর্থায়নের ব্যবস্থা করতেই হবে।

এডিপি ও অর্থায়ন নিয়ে সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে উত্তপ্ত বিতর্ক হচ্ছে। আলোচনা চলতে থাকে গভীর রাত পর্যন্ত।

সন্ধ্যায় বিআইডিএসের অধ্যাপক এম আসাদুজ্জামানের সঙ্গে দেখা হলে বলেন, এ দুটি মূল আলোচ্য বিষয় নিয়ে মারামারি (কথার সংঘাত) হয়ে যাবে। সমন্বিত সিদ্ধান্তে আসা কঠিন। অবশ্য দুপুরে স্টক টেকিংয়ের (অগ্রগতি পর্যালোচনা) বৈঠকে তিনটি বিষয় ছাড়া অন্য বিষয়গুলোতে মিটমাটের দাবি করা হয়।

যদিও এলএডি (লস অ্যান্ড ড্যামেজ) ও এসবিএস (সাবসিডিয়ারি বডি অন ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যান্ড সায়েন্টিফিক ম্যাটার্স) নিয়ে বিতর্ক চলছে। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে জলবায়ু বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের বিষয়ে উন্নত বিশ্ব বেশ উদাসীন।

কারণ, এসব মেনে নিলে হয়তো ক্ষতিপূরণের বোঝা তাদের ওপর বেশি পড়বে।

জলবায়ু সম্মেলন ভেন্যু, ওয়ারশ স্টেডিয়ামে চলছে এলাহি কাণ্ড। পুরো স্টেডিয়ামটিকে সম্মেলন প্রাঙ্গণে পরিণত করা হয়েছে। মূল মাঠের ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্লেনারি অধিবেশনের বড় দুটি কক্ষ। বিভিন্ন অধিবেশনের জন্য ছোট ছোট আরও অনেক কক্ষও রয়েছে।

তা ছাড়া তিনতলা গ্যালারির বাইরের গা ঘেঁষে লেভেল-৪ থেকে +২ লেভেল পর্যন্ত ছয়-সাত তলাজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন অধিবেশনকক্ষ ও অন্যান্য দপ্তর। লেভেল-২-এর বিশাল চত্বরে সাংবাদিকদের জন্য রয়েছে চার-পাঁচ শ ল্যাপটপ। ব্যস্ততার শেষ নেই। সারাক্ষণ সবখানে চলছে আলোচনা, তীব্র বিতর্ক অথবা মতবিনিময়। যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার বিরাট আয়োজন রয়েছে।

গ্রিন টেকনোলজির গুণগানে সবাই ব্যস্ত। বিশেষভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তৎপরতা লক্ষণীয়। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান এদিকে ইঙ্গিত করে বললেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন উন্নত বিশ্বের অনেক দেশের বড় বড় কোম্পানির কাছে বিরাট সুযোগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ওরা গরিব দেশগুলোর কাছে গ্রিন টেকনোলজি গছাতে ব্যাকুল। এই হতভাগা দেশগুলো একবার মরছে জলবায়ু বিপর্যয়ে, আর দ্বিতীয়বার মরছে এসব গ্রিন টেকনোলজি কেনার খপ্পরে পড়ে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.