পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের পক্ষে শক্ত প্রমাণ আছে বলে দাবি করেছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল বুধবার ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের কাছে পাকিস্তান সরকারের প্রধান আইন-কর্মকর্তা মুনির এ মালিক এ দাবি করেন।
মালিকের ভাষ্য, মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের পক্ষে শক্ত প্রমাণ আছে। তাই তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে।
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মোশাররফকে বিচারের মুখোমুখি করার ব্যাপারে গত রোববার ঘোষণা দেয় পাকিস্তান সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান বলেন, ২০০৭ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে মোশাররফ জরুরি অবস্থা জারি করে দেশের সংবিধান স্থগিত করেন। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিচার করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আবেদন করা হবে। গত সোমবার বিচারকাজে সরকারপক্ষে কৌঁসুলিও নিয়োগ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদের অধীনে মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা শুরু করতে গত মঙ্গলবার তিন সদস্যের একটি বিচারক প্যানেলের অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, রাষ্ট্রদ্রোহের বিচারে গঠিত বিশেষ আদালতে অভিযোগ দায়েরের পর কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা মোশাররফকে গ্রেপ্তার করতে পারে।
এই মামলায় দ্রুততম সময়ে শুনানি ও রায় হবে। এই আদালত আসামির জামিন আবেদন শুনবেন না। দোষী সাব্যস্ত হলে একমাত্র প্রেসিডেন্টই আসামিকে ক্ষমা করতে পারবেন।
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে সাবেক সেনাশাসক মোশাররফের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে। পাকিস্তান সরকার গত জুনে প্রথম ঘোষণা দেয়, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মোশাররফের বিচার করবে।
১৯৯৯ সালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় বসেন মোশাররফ। ২০০৮ সালে তিনি ক্ষমতা ছেড়ে স্বেচ্ছানির্বাসনে যান। পাঁচ বছরের মাথায় জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে গত মার্চে তিনি দেশে ফেরেন।
দেশে ফেরার পর লাল মসজিদে রক্তক্ষয়ী সেনা অভিযান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় মোশাররফকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।