লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ওষুধের দাম। কোনো কারণ ছাড়াই কিছুদিন আগেও বেড়েছিল। কী কারণে বেড়েছিল তা সে সময় কেউ বলতে পারেনি। গতকাল থেকে বিনা নোটিসে আরেক দফা বাড়ল। কিন্তু কেন বাড়ল কারণ জানে না কেউ। এদিকে ওষুধের উচ্চ মূল্যে রোগীদের অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি। দাম বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে শিশুদের সর্দি-কাশির সিরাপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধ। ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপটা, এসিআই, বেঙ্মিকো, একমি ও স্কয়ার প্রায় ২০০ ধরনের ওষুধের দাম বাড়ালেও নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এ সম্পর্কে কিছুই জানে না। দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি তাদের পণ্যের দাম গত এক বছর ধরে নানাভাবে বাড়িয়েছে। এ ছাড়া বছরের বিভিন্ন সময় কৃত্রিম সংকট তৈরি করেও বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়িয়েছে এসব কোম্পানি। সরমজিনে দেখা গেছে বেঙ্মিকোর উৎপাদিত টোফেন সিরাপের দাম ৪৫ টাকা থেকে হয়েছে ৫০ টাকা। বেড়েছে জ্বরের জন্য প্রয়োজনীয় নাপা এঙ্ট্রারও দাম। একেকটি বড়িতে বেড়েছে ৬০ পয়সা করে। সর্দি-কাশি, জ্বরের পাশাপাশি বেঙ্মিকো স্যালাইনের দামও বাড়িয়েছে। এক হাজার মিলিলিটার কলোরাইড স্যালাইনের দাম এক মাস আগেও ছিল ৬৮ টাকা, এখন সেটির দাম ৯১ টাকা ৭২ পয়সা, ডেঙ্ােরাইটের দাম ৬২ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকা ৮৯ পয়সায়। এর বাইরে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ডায়ারিল-১,২,৩ এ তিনটিরই দাম বেড়েছে। এক মাস আগে একেকটি বড়ির দাম ছিল তিন, পাঁচ ও সাত টাকা। এখন সেগুলোর দাম হয়েছে সাড়ে চার, আট ও ১০ টাকা। এ সপ্তাহে স্কয়ারের জ্বরের ওষুধ এইসসহ মোট আটটি ওষুধের দাম বেড়েছে, ইনসেপ্টার বেড়েছে পাঁচটি এবং এসিআইয়ের চারটি ওষুধের দাম বেড়েছে। স্কয়ারের লিবেক (৫০০ মিলিগ্রাম) ক্যাপসুলের প্রতিটির দাম ১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৫ টাকা হয়েছে, সিরাপের দাম হয়েছে ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা, প্রতিটি এইস বড়ির দাম এক টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে আড়াই টাকা হয়েছে। ইনসেপ্টার কর্টান (১০ মিলিগ্রাম) একেকটি বড়ির দাম দুই টাকা থেকে চার টাকা, ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটের দাম তিন টাকা ৭২ পয়সা থেকে বেড়ে ছয় টাকা ২৬ পয়সা হয়েছে। এসিআইয়ের ব্রডিলের দাম ২০০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা, অ্যামোটেঙ্রে দাম ১০৬ টাকা থেকে ১২৬ টাকা হয়েছে। বেড়েছে এ প্রতিষ্ঠানের আরও বেশ কিছু ওষুধের দাম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, আমাদের আসলে কিছুই করার নেই। যে ওষুধগুলোর দাম বেড়েছে সেগুলো বাড়ানোর বিষয়ে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।