আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট মেঘনা নদী থেকে উত্তোলনকৃত প্রায় ২ কোটি টাকার বালু মাত্র ৬২ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় রবিবার দুপুরে নিলাম করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কোনো নোটিস প্রদান না করে বৈধভাবে উত্তোলনকৃত এসব বালু নিলাম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট বালু ব্যবসায়ীরা। বিকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বালু ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বালু ব্যবসায়ী মো. সেলিম, মাহবুবুর রহমান, মো. আবু তাহের, মনির হোসেন, বাদশা প্রমুখ।অভিযোগে বলা হয়, সরকার নির্ধারিত গত ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইজারাদারের কাছ থেকে সাব কন্ট্রাক্ট নিয়ে বৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছেন স্থানীয় ছয়জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। যা স্থানীয় মজু চৌধুরীর হাট-ঘাট এলাকায় দেশের রাজনৈতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার কারণে বিক্রি করতে না পেরে নিজস্ব স্থানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে বলে দাবি তাদের। হঠাৎ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বালু বিক্রি বন্ধ করার মৌখিক আদেশ দেন। পরে বালু ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়ে কোনো প্রতিকার পায়নি। গত ২ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও স্থানীয় চর রমনী মোহন ইউপি চেয়ারম্যান ওই বালুগুলো নিলাম দেয়। যা সম্পূর্ণভাবে ব্যবসায়ীদের প্রতি অন্যায় ও অবিচার হিসেবে দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। কোনো নোটিস ছাড়াই এসব উত্তোলনকৃত বালু নিলাম দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তারা। এতে করে ছয়জন ব্যবসায়ীসহ প্রায় অর্ধশত লোক চরম ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে জানায়। ওই স্থানে ৩১ লাখ ৩৩ হাজার ২১২ ঘন ফুট বালু রয়েছে যার বাজার মূল্য ফুট প্রতি ৬ টাকা হারে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৯৯ হাজার ২১২ টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি প্রায় ৬০ ফুট বালু অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বালু থাকলেও পরিমাপে কম দেখিয়েছেন প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসন উক্ত বালুগুলো ফুট প্রতি ২ টাকা হারে নিলাম দেওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টিসহ বালু মহাল নিয়ে যেকোনো সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.