ভারতের প্রায় সব কটি রাষ্ট্রীয় পুরস্কারই উঠেছে শচীন টেন্ডুলকারের হাতে। ‘পদ্মশ্রী’, ‘পদ্মভূষণ’, ‘মহারাষ্ট্র ভূষণ’, ‘খেলরত্ন’—সবই পাওয়া হয়েছে লিটল মাস্টারের। বাদ ছিল শুধু ‘ভারতরত্ন’। সেই অপূর্ণতাটাও দূর হয়েছে বিদায়বেলায়। মুম্বাইয়ে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা শেষ হওয়ার পর পরই টেন্ডুলকারকে ভারতরত্ন দেওয়ার ঘোষণা দেয় ভারত।
তখন এ নিয়ে সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা আদালত পর্যন্ত গড়াল। লিটল মাস্টারকে সবচেয়ে বড় বেসামরিক খেতাব দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন দুই ব্যক্তি।
আবেদনকারীরা হলেন ভারতীয় পুলিশের কর্মকর্তা অমিতাভ ঠাকুর এবং সমাজকর্মী নুতন ঠাকুর। তাঁদের দাবি, শচীন টেন্ডুলকার ভারতরত্ন খেতাব পাওয়ার যোগ্য নন। কাউকে সবচেয়ে বড় বেসামরিক খেতাব দেওয়াকে সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করা উচিত।
ক্রিকেটকে ‘তামাশা’ আখ্যায়িত করে আবেদনকারীরা বলেন, ‘ক্রিকেট দেশকে পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। টেন্ডুলকারকে ভারতরত্ন দিলে খেতাবটির সম্মানহানি ঘটবে। ’ আদালত গতকাল সোমবার আবেদনকারীদের বক্তব্য শুনলেও এ বিষয়ে এখনো রায় দেননি।
১৯৫৪ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতরত্ন খেতাব পেয়েছেন ৪৩ জন। অবাক করার ব্যাপার হলো টেন্ডুলকারের আগে খেলাধুলা জগতের কেউই খেতাবটি পাননি।
গত বছর ক্যারিয়ারের শততম সেঞ্চুরিটি করার পরই লিটল মাস্টারকে ভারতরত্ন খেতাবে ভূষিত করার দাবি উঠেছিল। টেন্ডুলকার অবশেষে খেতাবটা পেলেন নিজের বিদায়ি ম্যাচের পর।
তবে ভারতের আরেক কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ, সাবেক অ্যাথলেট মিলখা সিং বলেছেন, টেন্ডুলকারের আগেই হকি কিংবদন্তি ধ্যানচাঁদকে দেওয়া উচিত ছিল এই সম্মান। সূত্র: আইবিএন।
শুধু ক্রিকেটের সর্বশেষ স্কোর জানতে C লিখে এসএমএস করুন 2221 নম্বরে।
যেকোনো খেলার আপডেট পেতে S লিখে এসএমএস করুন 2221 নম্বরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।