আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনের সময় বাড়ানোর দাবি ব্রোকারদের

পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় পুনঃ অর্থায়নের প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা নেওয়ার আবেদনের সময় আরও এক মাস বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকাররা। একই সঙ্গে এই অর্থ নিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে অনীহা রয়েছে, তা দূর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিলের তদারকি কমিটির আহ্বায়ক সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুনঃ অর্থায়ন তহবিলের অর্থ ছাড়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। বৈঠকে বেশ কিছু সমস্যা উঠে এসেছে।

তহবিলে আবেদনের সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে স্টেক হোল্ডারদের পক্ষ থেকে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তদারকি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। ’

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকারের দেওয়া পুনঃ অর্থায়নের বিষয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা বিতরণে সময় এক মাস বাড়ানোর জন্য বিএসইসির কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কীভাবে টাকাগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছে সহজে পৌঁছানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

কেউ কেউ কিছু শর্ত শিথিলেরও পরামর্শ দিয়েছেন। এ বিষয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে সময় বাড়ানোর বিষয়ে জানানো হবে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘আইসিবির কাছে পুনঃ অর্থায়নের জন্য ব্রোকারদের বেশ কিছু আবেদন জমা পড়েছে। আনুমানিক ৪০ কোটি টাকার মতো আবেদন জমা পড়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে বাকি আবেদনগুলো জমা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফের জন্য ৯০০ কোটি টাকা দিতে রাজি হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে আইসিবিকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এই টাকা নিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। এসব শর্তের জন্য তেমন একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা।

প্রসঙ্গত, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফ সুবিধা পেতে শর্তগুলো হলো, ঋণের জামানত হিসাবে সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক বা স্টক ব্রোকারকে করপোরেট গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে, ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে বিএসইসি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জরিমানা করতে পারবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের (মার্চেন্ট ব্যাংক/ স্টক ব্রোকার) নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.