আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাজুল ইসলাম- একজন সাদা মনের মানুষ

আজও নিজের মাঝে অসাধারণতার ছাপ খুঁজে বেড়াই কিন্তু প্রতিবারই নিজেকে খুব সাধারণরূপে আবিষ্কার করি। মন্দ কি...ভালই তো আছি।

চারদিকে যখন মানুষের জানমাল নিয়ে অসুস্থ ও গর্হিত খেলা চলছে ঠিক তখনই নতুন করে খাঁটি বাঙালিয়ানার আসল জাত চেনালেন আমাদেরই মাটির মানুষ তাজুল চাচা। পেশায় কৃষক হলেও তিনি আজ যে কাজটি করেছেন তা নিঃসন্দেহে এদেশে গনতন্ত্রের ঝাণ্ডা ধারক আর একেকটা তথাকথিত বিদ্যার জাহাজকে সজোরে চপেটাঘাত করবে। জানি তবুও এদের লজ্জা হবে না।

কঠিন ভাইরাসে আক্রান্ত এদের মৃতপ্রায় বিবেককে পুনঃজাগ্রত করার জন্য কোনদিন কোন এন্টি ভাইরাস আবিষ্কৃত হবে না। কিন্তু নিরবে নিভৃতে কাজের কাজটুকু করে যাবেন বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা তাজুল চাচারা। প্রতিদানে আমরা তাদের ২০ টাকা ৫০ টাকা সেধে নিজেদের সার্টিফাইড ছোটলোক প্রমাণ করার চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিব। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এবারও তারা তীব্র অপমানে দমে যাবেন না। মৃদু হেসে আবারো আমাদের মত পশুগুলোকে মানুষ করার মহান ব্রত নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।

বিঃদ্রঃ প্রতিদিনের মতই ফজরের নামাজ পড়ে ঘর থেকে বের হন তাজুল ইসলাম। দেখেন কে বা কারা ট্রেন লাইন উপড়ে রেখেছে! অথচ পশ্চিম দিক থেকেই ভেসে আসছে ট্রেনের আওয়াজ। কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না। হঠাতই বুদ্ধি করে বাড়ির দিকে দৌড় দেন। একটি লাঠিতে স্রীর লাল পেটিকোট পেঁচিয়ে ছুটে আসেন।

আর তাতেই নিশ্চিত দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পায় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা মেঘনা এক্সপেস ট্রেনটি। বেঁচে যান ৫০০ এর অধিক যাত্রী!! প্রতিদানে ওখানকার ষ্টেশনমাস্টার উনাকে ৫০ টাকা দিতে চেয়েছিলেন...তিনি তা নেন নি। মুখের উপর না করে দোয়া চেয়ে মানুষের ভীড়ে হারিয়ে গেলেন। আজ সত্যি চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে, সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.