নওগাঁর ধামইরহাটে ধানের নকল বীজ কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নকল বীজ আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত বসে অর্থদন্ড প্রদান ও বিভিন্ন ব্যান্ডের প্যাকেট পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তবে মূল আসামীরা পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমান টিম উপজেলার খাদ্য গুদামের সামনে অবস্থিত মৌসুমি বীজভান্ডার ও মেসার্স কৃষি বীজ ভান্ডারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ধানের নকল বীজ উদ্ধার ও বীজ প্যাকেটজাত করনের বিভিন্ন উপকরন আটক করে। ওই সব বীজ ভান্ডারের মালিক দুই সহোদর ভাই খায়রুল বাশার ও খাদেমুল ইসলামের কয়েকটি গুদাম ও বাড়িতে অভিযান চালিয়ে স্থানীয়ভাবে সংগৃহিত প্রায় ৩০-৩২ মন জিরাশাইল ধান, গম ও সরিষার নকল বীজ ও দেশের বিভিন্ন নামিদামী বীজ বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করা কয়েকশত ছোট ছোট বস্তার ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
নামিদামী কোম্পানীর সিল মেরে ওসব ধান ব্যাগে ভরিয়ে ওই সব কোম্পানির নাম ব্যবহার করে এলাকার উচ্চ ফলনশীল বীজ হিসেবে বিক্রয় করছিল ওই দুই বীজভান্ডার মালিক। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আটককৃত ধান, গম ও সরিষা প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয় এবং ওই দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এরপর আটককৃত নকল ধানের বস্তাগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেমায়েত উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব নকল বীজ উদ্ধার করা হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।