অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে প্রহ্লাদ চন্দ্র দে বিকাশকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। একই মামলায় হত্যার আলামত বিনষ্ট করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। বিকাশ ঢাকা বারের একজন আইনজীবী। মামলার অন্য আসামি ইতি সরকার বেকসুর খালাস পেয়েছেন। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিকাশকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। এ সময় বিকাশ জামিনে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজার পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ১১ মে আসামি প্রহ্লাদ চন্দ্র দে বিকাশের সঙ্গে সীমা মিত্রের বিয়ে হয়। তারা ঢাকার রমনা থানার নয়াটোলার চেয়ারম্যান গলিতে একটি বাসায় থাকতেন। ১৯৯৩ সালের ৬ ডিসেম্বর পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সীমা মিত্র অগি্নদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ৮ ডিসেম্বর চিকিৎধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। '৯৪ সালের ৭ জুন ডিআইজির তৎকালীন রমনা জোনের ইন্সপেক্টর আলমগীর কবীর তদন্তে হত্যার আলামত পাওয়ায় এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলার চার্জশিট প্রদান করেন। এরপর দীর্ঘ ২০ বছরের আইনি লড়াই শেষে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় প্রদান করেন আদালত। মামলায় অভিযোগ ছিল, ইতি সরকারকে বিয়ে করার জন্য আসামি বিকাশ স্ত্রী সীমাকে হত্যা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বিকাশ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মুলাইপত্তন গ্রামের ধীরেন চন্দ্র দের ছেলে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।