কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউপি চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চু হত্যা মামলায় ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আকতার জামিল এ আদেশ দেন। মামলায় অন্য ২৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইব্রাহিম, হাবিল, শামিম, ডাবলু, সাহেব, জিয়া, জাহাঙ্গীর, রাজ্জাক, আরিফ খান বাবু, মুকুল হোসেন, মানিক ও ইসলাম। এদের মধ্যে ইব্রাহিমকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড এবং বাকি ১১ জনের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। আদালতসূত্রে জানা গেছে, আসামিরা ২০০৯ সালের ২৫ জুলাই ইউপি চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জিয়াউল ইসলাম স্বপন বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাসির উদ্দিন ২০১০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। ২০১৩ সালের ১৬ জুলাই মামলাটি খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুই আসামি মানিক ও ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।